বোর্ড গঠনের এক মাসের মধ্যে সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচনে প্রকাশ্যে চলে এল শাসকদলের অর্ন্তবিবাদ। মঙ্গলবার ওই নির্বাচনে তৃণমূলের আট সদস্য গরহাজির ছিলেন। খোদ রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার খাস তালুকে গোষ্ঠীবিবাদ দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।
৩৩ সদস্যের ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে ১৬টি আসন পায় তৃণমূল। এক ফরওয়ার্ড ব্লক সদস্যের সমর্থনে বোর্ড গড়ে শাসকদল। এ দিন স্থায়ী সমিতির নির্বাচনে সব সদস্যকে সভায় হাজির থাকার কথা বলেন মন্ত্রী সুব্রত সাহা।
স্থায়ী সমিতির ভোটে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা ছাড়াও পদাধিকার বলে এলাকার প্রধান, জেলা পরিষদের সদস্য ও বিধায়ক-সাংসদরাও ভোট দিতে পারেন। সব মিলিয়ে ভোটার সংখ্যা ৪৮। তৃণমূলের ২১। কিন্তু এ দিনের সভায় হাজির ছিলেন সাকুল্যে ১৩ জন। কংগ্রেস ও সিপিএম সভায় না যাওয়ার জন্য দলীয় সদস্যদের হুইপ জারি করে।
কিন্তু নির্দেশ উপেক্ষা করে সিপিএমের ৩, ফরওয়ার্ড ব্লকে ২ ও কংগ্রেসের ১ জন সভায় গিয়ে তৃণমূলকে সমর্থন জানায়। বিরোধী সদস্যদের সমর্থনে স্থায়ী সমিতি গড়লেও দলের একাংশ সদস্যের গড়হাজিরে চিন্তিত তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের দলনেতা জোসন আলি বলেন, “মন্ত্রী সব জানেন। যা ব্যবস্থা নেওয়ার তিনিই নেবেন। তবে আমার আশা রাগ-অভিমান ঝেড়ে ফেলে বিক্ষুব্ধরা দলের সঙ্গেই থাকবেন।”
ক্ষুব্ধ এক সদস্য বলেন, “ব্লক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই মন্ত্রী সভাপতির নাম ঠিক করেছেন। এই স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে আমরা সভা বয়কট করেছি।”
সুব্রতবাবু অবশ্য বলেন, “সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই সভাপতির নাম স্থির হয়। তবুও ওই আট ‘বিশ্বাসঘাতক’ সভায় না এসে দলকে অস্বস্তিতে ফেলল। এই গোষ্ঠীকোন্দলের প্রশয়দাতাদের খুঁজে বার করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।” |