|
|
|
|
পথবাতি নেই, একটু বৃষ্টিতেই জলে-কাদায় দুর্গাচক বাজার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
৩০ বছরেরও পুরনো বাজার। তা-ও আবার হলদিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত দুর্গাচকে। পাঁশকুড়া-হলদিয়া রাজ্য সড়কের গা ঘেঁষে বসা ওই বাজারে ৮৫০ জন স্থায়ী ও ৩০০ জন অস্থায়ী ব্যবসায়ী রয়েছেন। প্রাত্যহিক কেনাকাটা ছাড়া মঙ্গল ও শনিবার বিশেষ হাট বসে। সে সময় কয়েক হাজার মানুষের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা থাকে না। ব্যবসায়ীদের কাছে নিয়মিত কর নিলেও বাজারের উপযোগী পরিকাঠামো করে দেওয়ার ব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই পুরসভার।
কয়েক বছর আগে পুরসভা কয়েক’টি স্টলের ব্যবস্থা করলেও তাতে স্থান সঙ্কুলান হয় না ব্যবসায়ীদের। সামান্য বর্ষায় রাস্তায় জল জমে যায়। নর্মদা সাফাই না হওয়ায় মশা-মাছি, দুর্গন্ধের মধ্যেই বসতে হয় তাঁদের। মূলত বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাজারে ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি। অথচ, পথবাতি বা আলোকস্তম্ভের কোনও ব্যবস্থা করেনি পুরসভা। আলোয় অভাবে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েন অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। বাজার এলাকায় দুটি সাধারণ নলকূপ থাকলেও কয়েকটি ট্যাপ কল বসানোর দীর্ঘ দিনের দাবি রয়েছে বাসিন্দাদের। একে বাজারের নিকাশি ব্যবস্থা খারাপ। তার উপর দুটি শৌচালয়ই ব্যবহারের অযোগ্য। |
 |
স্থায়ী ছাউনি তৈরি হয়নি দুর্গাচক বাজারে।—নিজস্ব চিত্র। |
কৌশল্যা প্রধান, পূর্ণিমা মণ্ডল, শৈব্যা জমাদারদের মতো বাসিন্দারা বলেন, “শৌচাগারে জল, আলো, দরজা কিছুই নেই। পরিষ্কারও করা হয় না। আমরা যাব কোথায়?” দুর্গাচক কলোনি বাজারের দোকানদার সমিতির সহ-সভাপতি সত্যশঙ্কর সাউয়ের অভিযোগ, “বাজারে সাইকেল, মোটর সাইকেল বা গাড়ি রাখার কোনও ব্যবস্থা নেই। এমনকী বাজার এলাকায় পুরসভার অনেক জমি থাকলেও তা কাজে লাগানো হচ্ছে না।” পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, “হাজার হাজার মানুষ বাজারে এসে নিত্য সমস্যায় ভুগলেও কোনও দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছে না পুরসভা। আসলে পরিষেবা দেওয়ার কোনও মানসিকতাই নেই পুর কর্তৃপক্ষের।” হলদিয়ার উপ পুরপ্রধান নারায়ণচন্দ্র প্রামাণিকের পাল্টা অভিযোগ, “কয়েক জন ব্যবসায়ী পুরসভার কাছে কয়েক লক্ষ টাকা কর বকেয়া রেখেছেন। বারবার তাগাদা দিয়েও তা মেলেনি। পুরসভা প্রাপ্য কর না পেলে পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ পাবে কোথা থেকে!” তবে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, “পুরসভার বাস্তুকারকে দিয়ে ওই বাজারের সমীক্ষা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি নিয়ে পুরসভা কাজের পরিকল্পনা করবে। তা ছাড়া বাজার এলাকার জমি ব্যবসায়ীদের কী ভাবে ব্যবহার করার সুযোগ দিলে পুরসভার আয় বাড়বে, তা-ও খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পরিকল্পনা করা হবে।” |
|
|
 |
|
|