প্রায় দু’বছরের মাথায়, আগামী শুক্রবার সিঙ্গুরে সভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন সিঙ্গুর ব্লক অফিসে প্রশাসনিক বৈঠকও করবেন তিনি। সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুরের ‘অনিচ্ছুক’দের কী বার্তা দেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। কেননা, ‘অনিচ্ছুক’রা এখনও টাটাদের প্রকল্প থেকে জমি ফেরত পাননি। জমি-মামলা এখনও বিচারাধীন।
বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন সিঙ্গুরে জমি-আন্দোলন পর্বে বহুবার সভা করেছেন মমতা। যে আন্দোলন তাঁকে রাজ্যের পালাবদলের লড়াইয়ে অনেকটাই সাহায্য করেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে এখনও পর্যন্ত একবারই সিঙ্গুরের মাটিতে সভা করতে দেখা গিয়েছে। সেটা ২০১১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। তার পরে, গত বছরও সিঙ্গুর এসেছিলেন মমতা। কিন্তু সভা করেননি। ব্লক অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক সেরেই ফিরে যান।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এ বার প্রথমে ডানকুনির কোল ইন্ডিয়া ভবন প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য নির্দিষ্ট হয়। সেইমতো প্রস্তুতিও শুরু হয়। কিন্তু শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রীই ডানকুনি থেকে বৈঠক সরিয়ে সিঙ্গুরে করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। স্থানীয় ভোলার মাঠে তিনি জনসভা করবেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এত দিন বাদে তাই সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ‘অনিচ্ছুক’ চাষি-খেতমজুরদের কী বার্তা দেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে, এলাকার মানুষের দীর্ঘদনের দাবি মেনে সিঙ্গুরে ডিগ্রি কলেজ চালু করেছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। প্রস্তাবিত ‘ট্রমা কেয়ার সেন্টার’-এর জন্য জমি চিহ্নিতও হয়েছে। কিন্তু সিঙ্গুরের মানুষের মুখে ঘুরে-ফিরে আসে সেই জমির প্রসঙ্গই। তাই সে দিক থেকে সিঙ্গুরে এ বারে মুখ্যমন্ত্রীর সভা অনেকটাই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। |