সোনার গয়না বন্ধক রেখে ঋণের শর্ত আরও কড়া |
সোনার গয়না বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার শর্ত আরও কড়া করল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সোনার চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করতে ও ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা আনতেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। অন্য দিকে, দেশি গয়না শিল্পের স্বার্থরক্ষায় মঙ্গলবারই সোনা-রুপোর গয়নায় আমদানি শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ১৫% করল কেন্দ্র। সরকারি সূত্রে খবর, টাকার দাম পড়া রুখতে আমদানি খরচ কমিয়ে ডলারের চাহিদা নিয়ন্ত্রণও এর অন্যতম লক্ষ্য।
আরবিআই এ দিন জানিয়েছে, যে-গয়না ঋণ দেওয়ার জন্য গচ্ছিত রাখা হবে, তার দাম স্থির হবে বিগত ৩০ দিনে ২২ ক্যারাট সোনার বাজার বন্ধকালীন দরের গড়ের ভিত্তিতে। বম্বে ব্যুলিয়ন অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া দরই এ জন্য গ্রাহ্য হবে। বর্তমানে বন্ধক রাখা সোনার গয়না মূল্যায়নের জন্য দেশ জুড়ে কোনও অভিন্ন বিধি নেই। আরবিআই জানিয়েছে, দাম স্থির করা হয় খেয়াল-খুশি মতো। ফলে তাতে স্বচ্ছতা নেই।
নয়া ব্যবস্থায় স্বর্ণঋণ দেবে, এমন বেসরকারি আর্থিক সংস্থাগুলিকেও (এনবিএফসি) কিছু নিয়ম মানতে হবে।
|
• ঋণগ্রহীতাকে সংস্থা তার লেটারহেড-এ লিখিত ভাবে জানাবে ওই গয়না কতটা খাঁটি, অর্থাৎ তা কত ক্যারাটের। উল্লেখ করতে হবে ওজনও
• গয়না ২২ ক্যারাটের কম সোনায় তৈরি হলে সংস্থাকে তা ২২ ক্যারাটে রূপান্তর করে আনুপাতিক হারে ওজন হিসাব করতে হবে
• গয়নার মূল্যের ৬০% ঋণ মিলবে
• ঋণ ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে ঋণগ্রহীতার প্যান কার্ডের কপি লাগবে
• এক লক্ষ টাকা ও তার বেশি ঋণ দিতে হবে চেক মারফত
• দু’-তিন মিনিটেই ঋণের টাকা মিলবে, এমন বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না কোনও সংস্থা
• এক হাজারটি শাখা আছে, এমন সংস্থা আরবিআইয়ের আগাম অনুমতি নিয়ে তবেই নয়া শাখা খুলতে পারবে
• বন্ধক রাখা গয়না যথেষ্ট নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা না-থাকলে শাখা খোলার অনুমতি মিলবে না
এ দিকে, সোনায় আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ১০% করা হয়েছে বলে গয়নায় তা ১৫% করা হল বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এই ফারাক না-থাকলে হাতে তৈরি দেশি গয়না শিল্প আমদানি করা মেশিনে তৈরি গয়নার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে।
|