সহায়তার প্রতিশ্রুতি রাষ্ট্রপুঞ্জের |
রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা পর্যটন কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় দেশ-বিদেশের পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার আধুনিক ব্যবস্থার করার উদ্যোগকে স্বাগত জানালেন রাষ্ট্রপুঞ্জের এশিয়া মহাদেশের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার মালদহে একটি বেসরকারি হোটেলে পর্যটন দফতর আয়োজিত এক আলোচনা সভায় যোগ পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী ‘ভিলেজ ট্যুরিজম’-এর উদ্যোগের বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। এর পরে সেখানে উপস্থিত ১৮টি দেশের প্রতিনিধি ওই উদ্যোককে স্বাগত জানিয়ে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি, রাষ্ট্রপুঞ্জের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার সাচি গ্লোবার বলেন, “ভিলেজ ট্যুরিজম প্রকল্পের উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা সবরকম সসহয়াতা করার চেষ্টা করব।”এদিন ১৮ টি দেশের ২৭ জন পর্যটক মালদহের আদিনায় দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম আদিনা মসজিদ ও জগজীবনপুরের নবম শতাব্দীর বৌদ্ধবিহার ঘুরে দেখেন। |
এর পরে পর্যটন দফতরের উদ্যোগে ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্বিক পর্যটনের বিকাশ ও জেলার সবার্ঙ্গীন আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র দূরীকরণ, কর্মসংস্থান, আয়বৃদ্ধি ও সুদূরপ্রসারী শান্তি প্রতিষ্ঠা শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা চক্রে পযর্টন দফতরের পক্ষ থেকে কোরিয়া, জাপান, জার্মান, ইংল্যন্ড, ভিয়েতনাম, ফিলিপনস,থাইল্যান্ড, মালোয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া সহ ১৮ টি দেশের আগত বিদেশি পযর্টকদের কাছে রাজ্যের ভিলেজ টুরিজমের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এদিন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম বাংলায় যেখানে পর্যর্টকদের থাকা ও খাওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। সেই সমস্ত পিছিয়ে পড়া গ্রাম বাংলার এলাকাতেই পযর্টকদের স্থানীয় বাসিন্দারদের বাড়িতে থাকা ও খাওয়ার সুবন্দোবস্ত যাতে করা যায় সে জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাতে ওই এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে।” ওই আলোচনা সভার কো-অর্ডিনেটর তথা ভারত সরকারের ধর্ষণ, নারী পাচার ও নারী নিযার্তন রুখতে বিশেষ ট্র্যাস্ক ফোর্সের চেয়ারপার্সন শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরী বলেন, “ভিলেজ টুরিজমকে যদি আমরা উন্নতি করতে না পারি, তবে কখনই মালদহের মতো পিছিয়ে পড়া জেলা থেকে নারী পাচার থেকে শুরু করে নারীদের উপর অত্যাচার কমবে না. গ্রামবাংলার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে না। রাজ্যের গ্রাম বাংলা থেকে দারিদ্র দূরীকরণ করতে ভিলেজ টুরিজম অন্যতম উপায় হতে পারে।”
ওই আলোচনা সভার পরে কোরিয়া থেকে আগত পযর্টক চুং সিক ইয়ং বলেন, “পর্যর্টন দফতরের আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ। আমরা দেশে ফিরে পশ্চিমবঙ্গে পর্যটকদের পাঠাব। জানতামই না মালদহে এত বড় বৌদ্ধ বিহার আছে।” |