স্কুল নির্বাচনে পুলিশকে ধমকানোর অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের আপ্তসহায় অমিত দত্তের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলে। এ দিন গার্লস হাইস্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন ছিল। কংগ্রে- সিপিএমের অভিযোগ, পুলিশ অফিসারদের ধমকানোর পাশাপাশি ভোটারদের প্রভাবিত এবং পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকেও পড়েন মন্ত্রীর আপ্তসহায়ক। তৃণমূলের তরফে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে পুলিশের কাছে কোনও রকম লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। |
শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের সামনে পুলিশকে ধমকাচ্ছেন
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক।—নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন ভোটারকে প্রভাবিত করার অভিযোগকে ঘিরে কংগ্রেস, তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে এক দফায় ধস্তাধস্তি হয়। সেই সময় অমিতবাবু সেখানে ছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনার সময় পুলিশকে বিরোধীদের ধরতে হবে বলে ‘ধমক’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ একাংশের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, “তৃণমূল শাসক দল। শাসক দলের লোকেদের তো সবসময় পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার কথা। এ ক্ষেত্রে উল্টোটা দেখা গিয়েছে।” যদিও গোলমালের সময় তিনি সেখানে ছিলেন না বলে দাবি করেন অমিতবাবু। তাঁর বক্তব্য, “মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক হওয়া ছাড়াও আমার এনিজস্ব রাজনৈতিক পরিচয় আছে। সে পরিচয়ে আমি স্কুল নির্বাচনে যাই। গোলামলের বিষয়ে আমি জানি না। পুলিশ ধমকানোর কথা ঠিক নয়।”
এ দিন ভোট শুরু হতে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেস নেতা সুবীন ভৌমিক বলেন, “ভোটারদের প্রভাবিত করছে তৃণমূল। মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক তাতে উপস্থিত ছিলেন। গোটা রাজ্যেই শিক্ষাক্ষেত্রে তৃণমূল কী করছে তা মানুষ দেখছে। পুলিশকে ধমকানো এবং পুলিশ ব্যারিকেড ভাঙা কোনও কিছু অমিতবাবুরা এ দিন বাদ রাখেননি।” স্কুলের নির্বাচনের আহ্বায়ক সিপিএমের অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেছেন, “অমিতবাবু প্রকাশ্যে পুলিশকে আঙুল তুলে শাসিয়েছেন। পুলিশকে ভয় দেখিয়ে নিজেদের মত করে ভোট করেছে তৃণমূল।”
পাল্টা অভিযোগ করেছেন স্কুলের পরিচালন সমিতি সদ্য বিদায়ী সম্পাদক তথা তৃণমূল নেতা জয়ন্ত কর। তাঁর অভিযোগ, “কংগ্রেস- সিপিএম মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। কংগ্রেস সমর্থকেরাই পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙেন। আমাদের কর্মীদের দিকে তেড়ে আসেন। এখন মনগড়া অভিযোগ করা হচ্ছে।”
সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ গার্লস স্কুলের বাইরে কংগ্রেস-তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। সিপিএম ছাড়াও ওই স্কুলে তৃণমূল এবং কংগ্রেস আলাদা লড়াই করেছে। ভোটারদের প্রার্থীর নামের স্লিপ দেওয়া নিয়ে গোলমাল শুরু। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন শুধু বলেন, “অভিযোগ পাইনি। স্কুল ভোটে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল।” |