বিধানসভায় বিল আনার সময়েই তারা সরব ছিল। বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার দৌরাত্ম্য ঠেকাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নতুন বিল কেন্দ্রীয় সরকার শেষ পর্যন্ত ফেরত পাঠানোয় ফের প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়ে গেল বিরোধীরা। বাম এবং কংগ্রেস, দুই বিরোধী পক্ষেরই বক্তব্য, ওই বিলে যে যথেষ্ট ফাঁকফোকর আছে, বারবার তা বলা হয়েছিল। আইনি চ্যালেঞ্জের হাত থেকে বাঁচার জন্য বিধানসভায় বিরোধীরা সংশোধনীও এনেছিল। কিন্তু সে সব কিছুই গ্রাহ্য না-করে এমন ভুলে-ভরা বিল পাশ করিয়ে রাজ্য সরকার কি আসলে অপরাধীদের আরও সময় দিতে চেয়েছিল, ফের সেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
বিশেষ অধিবেশন ডেকে গত ৩০ এপ্রিল বিধানসভায় যখন বিলটি পাশ হয়, বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র সে দিন বলেছিলেন, “এমন কিছু করবেন না, যাতে সংশোধন করার জন্য আবার বিধানসভাতেই ফিরে আসতে হয়!” কার্যক্ষেত্রে ঠিক সেটাই হওয়ায় রবিবার ফের সরব হয়েছেন সূর্যবাবু। বাম আমলে পাশ হওয়া এই সংক্রান্ত যে বিলটি দিল্লিতে আটকে ছিল, সেটিই সংশোধন করে নিলে জটিলতা এড়ানো যেত বলে বিরোধীদের যুক্তি ছিল। সেই যুক্তিই ফের তুলে এ দিন সূর্যবাবু বলেছেন, “ওঁরা (সরকার) বললেন, বজ্রকঠিন আইন করলাম! বলেছিলাম, বজ্রকঠিন আইন কিন্তু তাতে ফস্কা গেরো রয়েছে! ওই গেরো দিয়ে অপরাধীরা পালিয়ে যাবে! এখন কাগজে দেখছি, আবার বিধানসভাতেই যেতে হচ্ছে!” সারদা-কাণ্ডে কোটি কোটি টাকা যারা লুঠ করেছে, তাদের উপরে এই আইন প্রয়োগে দেরি করানোই রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য ছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বস্তুত, বিরোধীদের মতে, দেশের চলতি আইনেই যে অপরাধের বিচার সম্ভব, তার জন্য নতুন আইন দরকার ছিল না। নতুন আইনে পুরনো অপরাধের বিচার সম্ভব নয় বলেও তারা সরকারকে সতর্ক করেছিল। রাজ্য সরকার অবশ্য এখন বলছে, ওই বিল আটকে যাওয়ায় সারদা-কাণ্ডের বিচার বা টাকা ফেরতে কোনও বাধা হবে না। এই প্রেক্ষিতেই কংগ্রেসের মানস ভুঁইয়ার বক্তব্য, “দেশের সংবিধান, ভারতীয় এবং ফৌজদারি দণ্ডবিধির যা পরিপন্থী, সেই বিল যে কখনও গ্রাহ্য হতে পারে না এটা কি মাননীয় অর্থমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না? আসলে এ সবই সময় নেওয়ার কৌশল!” রাজ্যের অর্থ বা পরিষদীয় দফতরের তরফে কেউ অবশ্য এ দিন মুখ খোলেননি। |
পঞ্চায়েত ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে লোকসভা ভোটের জন্য বুথ স্তরের কর্মী-বাহিনী গড়তে তৎপর হল কংগ্রেস। কর্মী তৈরির পাঠশালায় শেখানো হচ্ছে, মানুষের কাছে গিয়ে কী ভাবে দলের প্রচার করতে হবে, কী ভাবে মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনে তার মীমাংসার চেষ্টা করতে হবে। সাংগঠনিক দুর্বলতা পঞ্চায়েতে সমস্যায় ফেলেছিল কংগ্রেসকে। লোকসভা ভোটে তার পুনরাবৃত্তি এড়াতে একেবারে বুথ স্তর থেকে নতুন যুব কর্মী নিয়ে সংগঠনকে মজবুত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকম্যান্ড। সেই রূপরেখা মেনেই যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অরিন্দম ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রতি লোকসভা কেন্দ্র, বিধানসভা কেন্দ্র এবং ব্লক স্তরে আলাদা আলাদা ভাবে সংগঠন তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। |