ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে খুন করার অভিযোগে স্ত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে বাংলাদেশে পালানোর সময়ে পুলিশ মহিলাকে হিঙ্গলগঞ্জের বাঁকড়া গ্রামে তার বাপের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম গীতা ঘোষ। মাসখানেক আগে সন্দেশখালির ন্যাজাট বয়রামারি গ্রামের বাসিন্দা মণ্টু ঘোষের (৩৩) মুণ্ড সন্দেশখালির রামপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়। পরে পাশের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় দেহের বাকি অংশ।
বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুকুর থেকে দেহ উদ্ধারের দু’দিন পর ওই মহিলা থানায় এসেছিলেন স্বামীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করতে। সেই সময়ে মাথাটি দেখানো হলেও সেটি তাঁর স্বামীর বলে স্বীকার করেননি গীতাদেবী। তাঁর কথা শুনে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ পরে তাঁর মোবাইলের কল লিস্ট ঘেঁটে দেখে তিনি বিশেষ সময়ে দু’জনের সঙ্গে বহুবার কথা বলেছেন। যার মধ্যে একটি বাংলাদেশের ও আর একটি খুনি বলে পরিচিত একজনের। পুলিশ এও জানতে পারে মহিলা বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করছিল। এর পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় যুক্ত আরও দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারো বছর আগে মন্টুর সঙ্গে বিয়ে হয় গীতার। বিয়ের আগে বাংলাদেশের কৃষ্ণগঞ্জের মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে তার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। বছরখানেক আগে সীমান্ত পেরিয়ে গীতার বাপের বাড়ির গ্রামে মেলা দেখতে এসেছিল ওই যুবক। সেই থেকে তাদের মধ্যে ফের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এরপরই মন্টুকে সরিয়ে দিতে পরিকল্পনা করে দু’জন। এ জন্য ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে সন্দেশখালির রামপুর গ্রামের এক পেশাদার খুনিকে ভাড়া করে তারা। মন্টুকে খুন করা হয়।
ঘটনার পরদিনই মৃতের দেহ ও মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে পেশাদার খুনি দিয়ে স্বামীকে খুন করার কথা গীতাদেবী স্বীকার করেছেন। |