মেলায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে শনিবার রাতে খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী। গোপালনগরের আরামডাঙার বাসিন্দা বাবর আলি মণ্ডল (২৮) নামে ওই তৃণমূল কর্মীর নলিকাটা দেহ ওই রাতেই বনগাঁর মাধবপুর এলাকার একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গ্রামের সিপিএম আশ্রিত তিন দুষ্কৃতী বাবরকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে। সিপিএম অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
বনগাঁর এসডিপিও রূপান্তর সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, খুনের কারণ পরিষ্কার নয়। অভিযুক্ত সাদের মণ্ডল, রুহুল আমিন মণ্ডল এবং আলাউদ্দিন মণ্ডল পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজনৈতিক কারণের পাশাপাশি ব্যবসায়িক শত্রুতা ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদও রয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে বাবরকে বাড়িতে ডাকতে আসেন সাদের, রুহুল আমিন এবং আলাউদ্দিন। তাদের সঙ্গে বাবর নিজের মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। বাড়িতে বলে যান, গোপালনগরের বারাকপুরে সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত মেলা দেখতে যাচ্ছেন। তার পরে আর ফেরেননি। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাবরের দেহটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মোটরবাইকটিও উদ্ধার করে। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে বাবরের দেহ শনাক্ত করেন।
নিহতের দাদা রহমত মণ্ডল বলেন, “আমরা গোটা পরিবারই তৃণমূল সমর্থক। আমাদের জন্যই সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় প্রভাব বাড়াতে পারেনি। সেই শত্রুতা থেকেই ভাইকে খুন করা হল।” স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা গোপালনগর ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের দাবি, “বিধানসভা নির্বাচনের পরে আরামডাঙা এলাকা থেকে বাবর-সহ দলীয় সমর্থকদের চেষ্টায় বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার হয়। সিপিএমের দুষ্কৃতীরা দৌরাত্ম্য চালাতে পারেনি। এই শত্রুতা থেকেই খুন হন বাবর।”
অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের বনগাঁ-বাগদা জোনাল কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, “এই খুনের সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নয়। পুলিশি তদন্তে সঠিক তথ্যই উঠে আসবে।” |