অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক মহিলার। তাঁর নাম মাধুরী ঘোষ (২২)। শনিবার সকালে বাদুড়িয়া থানার কেওটশা গ্রামের ঘটনা। তাঁর বাবা ভোলানাথ দাসের অভিযোগ, এ দিন তাঁকে এক হাট লোকের মাঝে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। তা সহ্য করতে না পেরেই গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মৃতার প্রতিবেশী নুরজাহান বিবি ও তাঁর মেয়ে সেরিনা বিবি ও নুরের ভাই জুলফিকার আলির খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ ঘটনার সূত্রপাত। কেওটশা বাজারের কাছেই বাড়ি ভোলানাথ দাসের। তাঁদের পরিবার মদ বিক্রির সঙ্গে যুক্ত। বড় মেয়ে মাধুরী প্রথম পক্ষের স্বামী দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পরে সংবাদপত্র বিক্রেতা বিমলবাবুকে বিয়ে করেন। তাঁরা দু’জনে ভোলানাথবাবুর কাছেই থাকতেন। তাঁদের বছর ছয়েকের এক মেয়েও আছে। শুক্রবার রাতে কয়েক জন মদ খেয়ে গালিগালাজ করছিল। শনিবার সকালে তা নিয়ে প্রতিবাদ করেন প্রতিবেশী নুরজাহান বিবি। এই নিয়ে দুই বাড়িতে গণ্ডগোল বাধে। অভিযোগ, সেই সময় নুরজাহান ও তার মেয়ে সেরিনা ভাই জুলফিকার মাধুরীকে ঘর থেকে বের করে মারধর করতে তাকে। সকাল সাতটা নাগাদ ভরা বাজারে এই ঘটনায় ভিড় জমে যায়। মাধুরীকে গালিগালাজও করে নুরজাহান। মারের চোটে মাধুরীদেবীর পোশাক খুলে যায়। এর পরেই মাধুরী ঘরে ঢুকে কাপড়ের ফাঁস গলায় লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। বিমলবাবু বলেন, “ঘটনার সময়ে বাড়ি ছিলাম না। ফিরে দেখি, এই ঘটনা। লজ্জায়, অপমানে আত্মহত্যা করেছে ও। দোষীদের শাস্তি চাই।” |