সঞ্চয়ের পাঠ দিতে স্কুলে ডাক বিভাগ
ঞ্চয়ের টাকা কোথায় রাখলে সুরক্ষিত থাকবে তা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করতে স্কুলে স্কুলে যাবে ডাক বিভাগের আধিকারিক-কর্মীরা। সেখানে গিয়ে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের ডাকঘরের বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পের আকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করবেন তাঁরা। ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থার প্রলোভনে পা দিয়ে সাধারণ মানুষ যাতে বিপন্ন না হন, সে জন্য ডাক বিভাগের এই পদক্ষেপে ইতিমধ্যে সাড়া মিলেছে বলে দাবি করেছেন ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল যশোবন্ত পণ্ডা। শনিবার মেচেদায় গ্রাহক সচেতনতা শিবিরে তিনি বলেন, “মানুষ যাতে নিরাপদে ও সুরক্ষিতভাবে তাঁদের জমানো টাকা রাখতে পারেন, তার পাঠ ছাত্রাবস্থা থেকেই দিতে ওই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”
কী ভাবে খোলা যাবে অ্যাকাউন্ট?
২০ টাকা জমা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ওই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। একটি স্কুলে একসঙ্গে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর অ্যাকাউন্ট খোলা হলে ডাক বিভাগের কর্মীরাই প্রতি মাসের যে কোনও দিন ওই স্কুলে গিয়ে ফর্ম পূরণ করে টাকা জমা নেবে। ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে সারদা কাণ্ডের জেরে রাজ্যের সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে টাকা রাখার জন্য ডাক বিভাগের বিভিন্ন স্বল্পসঞ্চয় প্রকল্প নিয়ে সচেতন করতে বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
ছাত্রদের দেওয়া হচ্ছে পাস বই। —নিজস্ব চিত্র।
শনিবার ওই উপলক্ষে মেচেদার একটি অতিথিশালায় আয়োজিত সচেতনতা শিবিরে তমলুকের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা ছাড়াও কয়েক’টি হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাছে ডাক বিভাগের বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্প ও জীবন বিমা প্রকল্প নিয়ে বোঝান ডাক বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানে মেচেদা এলাকার হাকোলা হাইস্কুল ও গোপালগঞ্জ প্রিয়নাথ বাণীভবন হাইস্কুলের বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীর হাতে ডাকবিভাগের সেভিংস অ্যাকাউন্টের পাশ বই ও কয়েকজন সাধারণ বাসিন্দার হাতে জীবন বিমার নথি তুলে দেন চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল যশোবন্ত পণ্ডা। তিনি জানান, “শুধু তমলুক ডিভিশনেই মাত্র ১৮ দিনের মধ্যে প্রায় ১৮ হাজার সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তা ছাড়াও জীবন বিমা করার জন্য গ্রামে অভিযান শুরু হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, ডাকঘরগুলিতে শীঘ্রই ‘কোর ব্যাঙ্কিং’ পরিষেবা চালু করা হবে। তাতে গ্রামীণ সব ডাকঘরেই কম্পিউটারের মাধ্যমে টাকা জমা নেওয়া হবে। গ্রাহকদের এটিএম কার্ড দেওয়া হবে। ডাকঘরে টাকা জমা দেওয়া ও তোলার পর গ্রাহকরা ওই কার্ড ব্যবহার করে দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকেই জানতে পারবেন অ্যাকাউন্টে কত টাকা রয়েছে।
সারা দেশে মোট ১ লক্ষ ৫৫ হাজার শাখার সব ডাকঘরেই কম্পিউটারের মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা জমা ও তোলার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রধান ও উপ-ডাকঘরগুলিতে এই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন যশোবন্তবাবু। এ দিনের সচেতনতা শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ডাক বিভাগের পোস্ট মাস্টার জেনারেল (দক্ষিণবঙ্গ) প্রদীপ মাইকেল লাল ও তমলুক ডিভিশনের সুপারিন্টেনডেন্ট শশাঙ্কশেখর হাজরা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.