টুকরো খবর
দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ, ভাঙচুর
সব্জি, মাছ, মুরগি-সহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামবৃদ্ধির অভিযোগ তুলে বাজারে ঢুকে ব্যবসায়ীদের মারধর ও ভাঙচুর চালাল একদল যুবক। রবিবার, হাওড়ার ঘুসুড়ি বাজারে। পুলিশ জানায়, বেলা ১১টা নাগাদ তৃণমূলের পতাকা নিয়ে মিছিল করে ওই যুবকেরা। তাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড।
অভিযোগ, অনেকের হাতে ছিল লাঠি ও বাঁশ। মিছিলের পরে ওই যুবকেরা বাজারে ঢুকে দোকানিদের মারধর করতে শুরু করে। হুমকি দেয়, কেউ বেশি দামে জিনিস বিক্রি করলে তাঁকে বেধড়ক মারা হবে। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন উত্তর হাওড়ার তৃণমূল সহ-সভাপতি বদ্রু আনসারি।বদ্রুবাবু বলেন, “এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছিলেন, এই বাজারে অযথা বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদেই এই আন্দোলন।” এ ব্যাপারে উত্তর হাওড়ার তৃণমূল সভাপতি গৌতম চৌধুরী বলেন, “আমাদের দল এমন আন্দোলন সমর্থন করে না। যদি কেউ এমন করে থাকেন এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেন, দল তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে।”

প্রার্থিতালিকা নিয়ে বিভ্রাট শ্রীরামপুরের স্কুলভোটে
পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থিতালিকা নিয়ে বিভ্রাট তৈরি হল শ্রীরামপুরের একটি স্কুলে। রবিবার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনে ভোট ছিল। দেখা যায়, তৃণমূল যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, কংগ্রেসের তরফেও হুবহু একই প্রার্থীদের নাম দিয়ে লিফলেট ছড়ানো হচ্ছে। ছ’জনই সিপিএম প্রার্থীদের বিরুদ্ধে জিতে যান। তৃণমূল দাবি করছে, জয়ী প্রার্থীরা সকলেই তাদের দলের। কংগ্রেস যথারীতি তা অস্বীকার করেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে তাদের জোট হয়েছিল। সেই মতো দু’দলই তিন জন করে প্রার্থী দেয়। কিন্তু তৃণমূল সেই সমঝোতা ভেঙে কংগ্রেসকে ব্রাত্য রেখেই সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। কংগ্রেস নেতা গিরিধারী সাহা বলেন, “ওরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় আমরা আলাদা লিফলেট ছড়াতে বাধ্য হয়েছি। এখন ওরা যদি দাবি করে, জয়ীরা ছ’জনই ওদের দলের আর আমাদের কোনও অস্তিত্ব নেই, সেটা মিথ্যা।” কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা পাপ্পু সিংহ, অন্বয় চট্টোপাধ্যায়রা বলেন, “আদপেই ওদের সঙ্গে আমাদের কোনও জোট হয়নি। সস্তা প্রচারের জন্য ওরা এমন করছে।” প্রয়োজনে দল আদালতে যাবে বলে জানিয়েছেন পাপ্পুবাবু।

স্কুলভোটকে কেন্দ্র করে মারপিট জিরাটের গ্রামে
অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে মারপিট বাধল হুগলির জিরাটে। দু’পক্ষের কয়েক জন আহত হন। রবিবার কোবুরা পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। ৬টি আসনের সব ক’টিতেই অবশ্য জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন তাদের শিবিরে ঢুকে বিনা প্ররোচনায় মারধর শুরু করে। দলের বলাগড় মণ্ডলের সভাপতি সুভাষ খাঁ-সহ ৬ জন আহত হন। এক প্রার্থীও মার খান। তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি। জেলা বিজেপি নেতা স্বপন পাল বলেন, “তৃণমূল যে কোনও ভাবে ভোটে জিততে মরিয়া ছিল। পুলিশের সামনেই ওরা আক্রমণ করল।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি সমর্থকরাই তাদের উপরে চড়াও হয়। তৃণমূলের শিবিরে ভাঙচুর চালানো হয়। অন্তত তিন জন রক্তাক্ত হন। দু’জনের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। ব্লক তৃণমূল নেতা তপন দাস বলেন, “ওরা অতর্কিতে আমাদের উপরে হামলা করে। আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ না করলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.