|
|
|
|
জঙ্গি কাজকর্মে জড়িতদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবে বিহারে |
স্বপন সরকার • পটনা |
মাওবাদীদের নাম করে তোলা আদায়, জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহ ইত্যাদি ‘ব্যবসা’য় জড়িতদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে বিহার পুলিশ। কেন্দ্রের বেআইনি কাজ প্রতিরোধ আইন (আনলফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট) অনুযায়ী ওই পদক্ষেপ করা হবে। রাজ্য পুলিশের ডিজিপি অভয়ানন্দের দাবি, মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা দেশে নজিরবিহীন। তিনি বলেন “প্রথম পর্যায়ে ৭ জনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর সেই অনুমতি দিয়েছে।”
জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িতদের নামের তালিকা তৈরির জন্য আগেই পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দিয়েছিলেন ডিজিপি। তার ভিত্তিতে বিভিন্ন জেলা থেকে বেশ কিছু নামের তালিকা রাজ্য পুলিশের সদর দফতরে পৌঁছেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, তালিকায় ঔরঙ্গাবাদের ১৩, মুঙ্গেরের ৩, গয়া এবং জেহানাবাদের ৪ জনের নাম রয়েছে। তা ছাড়া পটনা, সীতামঢ়ী, শিউহর জেলাতেও ১ জন করে ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে। তাদের মধ্যে আপাতত ৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। ডিজিপি বলেন, “ওই আইন প্রয়োগে কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থার অনুমতি লাগবে না। হাইকোর্ট ছাড়া অন্য আদালতে পুলিশের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলাও করা যাবে না।”
পুলিশ সূত্রের খবর, তালিকায় নাম রয়েছে নওয়াদা জেলার কুন্দনলাল মণ্ডলের। তাঁর বাড়িতে হানা দিয়ে দামি গাড়ি, গয়না, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন-সহ প্রচুর জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হিসেব বর্হিভূত সম্পত্তি রয়েছে সীতামঢ়ীর সন্তোষকুমার ঝায়েরও। জঙ্গি সংগঠনের নাম করে তোলা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ের ওই তালিকায় দেবীলাল যাদব, বিহারি রবানি, বুদ্ধরাম পাসোয়ান, লক্ষ্মণ মিশ্র, রাজকিশোর যাদবের নাম রয়েছে। তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।
এরআগে, রাজ্যে অপরাধে জড়িত অনেকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে প্রশাসন। সরকারি কর্তাদেরও হিসেব বর্হিভূত সম্পত্তি আটক করেছে পুলিশ ও অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা। |
|
|
|
|
|