|
|
|
|
আডবাণীর সঙ্গে দেখা মোদীর, কথা তেমন নয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণার দু’দিনের মাথায় প্রথম প্রকাশ্যে একসঙ্গে এলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী ও নরেন্দ্র মোদী।
মোদীকে এখনই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করায় বাদ সেধেছিলেন আডবাণী। যে কারণে সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকেও তিনি যাননি। কিন্তু তার পর থেকে সঙ্ঘ নেতৃত্ব লাগাতার উদ্যোগী হয়েছেন মোদী ও আডবাণীকে এক মঞ্চে দাঁড় করিয়ে দলের ঐক্যের ছবিটা দেখাতে। এ মাসের শেষে ভোপালের এক জনসভায় একসঙ্গে মোদী ও আডবাণীকে হাজির করানোরও চেষ্টা করছে সঙ্ঘ। বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহের দাবি, দু’জনে এক মঞ্চে থাকবেন। অবশেষে আজ সন্ধ্যায় সাংসদ ও আইনজীবী রাম জেঠমলানীর বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে হাজির হলেন দু’জনেই। গত কাল জেঠমলানীর জন্মদিন গিয়েছে। আজ সেই উপলক্ষেই তাঁর বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল।
মোদী ও আডবাণী এক অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেও অবশ্য পরস্পরের সঙ্গে তেমন কথা বলেননি। আডবাণীর সঙ্গে তাঁর কন্যা প্রতিভাও গিয়েছিলেন অনুষ্ঠানে। মঞ্চে যখন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল, সেই সময়ে দর্শক আসনের প্রথম সারিতে আডবাণী ও মোদী বসেছিলেন। তাঁদের মাঝে ছিলেন জেঠমলানী। তিনিই কখনও মোদী, কখনও আডবাণীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। বিজেপির এক নেতার মন্তব্য, “দু’জনের মধ্যে কথা তেমন না হোক, অন্তত একসঙ্গে প্রকাশ্যে তো এলেন। এটাও রাজনীতিতে কম বড় ঘটনা নয়। আর এটি সম্ভব হল জেঠমলানীর হাত দিয়ে, যিনি নিজে বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত।”
এই অনুষ্ঠানে অবশ্য রাম জেঠমলানীর ছেলে মহেশও ছিলেন, যিনি অরুণ জেটলির ঘনিষ্ঠ। প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণার পরে আজই প্রথম হরিয়ানা থেকে প্রথম প্রচার শুরু করেন মোদী। সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানের আগে রাজনাথ সিংহ ও মুরলীমনোহর জোশীর সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। জোশীর সঙ্গে বৈঠকটি অনেকটা সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও বিজেপি
সূত্রের খবর, রাজনাথের সঙ্গে বৈঠকে দলের পরবর্তী রণকৌশল থেকে আডবাণী সব বিষয়েই কথা হয়েছে। জেঠমলানীর এই অনুষ্ঠানে অনেক কংগ্রেস নেতা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতেরাও উপস্থিত ছিলেন। |
|
|
|
|
|