সন্ন্যাসী সেজে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হল এক ব্যক্তি। শুক্রবার বালি ঘাট বাস স্ট্যান্ড থেকে ধরা হয় তাকে। ধৃত অশোক চট্টোপাধ্যায় দমদমের ঘুঘুডাঙার বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, দক্ষিণেশ্বরে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া থাকত অশোক। অভিযোগ, কিছু দিন আগে একটি ম্যাগাজিন থেকে এক লেখকের নম্বর জোগাড় করে তাঁকে ফোন করে অশোক। নিজেকে গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের বিমল মহারাজ বলে পরিচয় দিয়ে জানায়, মিশন পরিচালিত কিছু স্কুলে বিএড পাশ শিক্ষক নেওয়া হবে। চাকরিপ্রার্থীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে জানান ওই লেখক। এর পরে অশোককে ধরতে ফাঁদ পাতেন বালি থানার ওসি দীপক সরকার। বিএড পাশ বালি থানার এক অফিসার রাজকুমার চক্রবর্তী চাকরি চেয়ে ফোন করেন। অশোক জানায়, চাকরি পেতে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। কিছু দিন দর কষাকষির পরে এক মহিলা গ্রিন পুলিশকর্মী রাজকুমারবাবুর মা সেজে অশোককে ফোন করে ৩৫ হাজার টাকায় রফা করেন। শুক্রবার অশোকের কথা মতো রাজকুমারবাবু হাওড়া স্টেশনে যান। পরে তাঁকে বাগবাজার ঘাটে ডাকা হয়। সেখানে গেলে অশোক ফের ফোন করে বালিঘাট বাস স্ট্যান্ডে এক ব্যক্তির কাছে টাকা দিতে বলে। আসলে সেখানে হাজির ছিল খোদ অশোকই। রাজকুমারবাবু বালিঘাটে ফোন করা মাত্রই ওই প্রতারককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন দুই পুলিশ কর্মী শিবদাস বিশ্বাস ও বিকাশ দাস। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত স্বামী শুভকরানন্দ বলেন, “পুলিশ খুব সহযোগিতা করেছে। তদন্তে আমরাও পুলিশকে সব রকম সহযোগিতা করব।” পুলিশ জানায়, গত এপ্রিলেও অশোক নিজেকে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুহিতানন্দ পরিচয় দিয়ে স্কুলে চাকরির নামে প্রতারণা করে গ্রেফতার হয়। তখন সাড়ে তিন মাস জেল হয় তার।
ওই দিনই মেট্রো রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে মেট্রোর সদর দফতরের সামনে থেকে গ্রেফতার হয় এক ব্যক্তি। ধৃতের নাম শুভদীপ রায়। ওই দিন তিন যুবক নকল নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে গেলে সন্দেহ হয় অফিসারদের। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে শুভদীপের খোঁজ মেলে। |