আকাশি নীল ও সাদা রঙের কাপড়ে মোড়া প্যান্ডেলের নীচে কয়েক হাজার মানুষের সামনে শপথ নিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী। পাশে জেলা পরিষদের অসম্পূর্ণ অডিটোরিয়ামে শপথ নেন সহ-সভাধিপতি বিভাবতী টুডু ও জেলা পরিষদে তৃণমূলের বাকি সদস্যেরা। কিন্তু শুক্রবার ওই সভায় শপথ নিতে এলেন না বামফ্রন্টের বাকি পাঁচ জেলা পরিষদ সদস্য। তাঁরা শপথ বাক্য পাঠ করলেন জেলাশাসকের অফিসে। শপথ গ্রহণের শেষে জঙ্গলমহল থেকে কলকাতার জন্য দূরপাল্লা ও বাঁকুড়া শহরের জন্য কয়েকটি লোকাল বাসের উদ্বোধন করেন অরূপবাবু। |
জেলা পরিষদ ভবনের পাত্রের মন্তব্য, “গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের সময় গণ্ডগোলের আশঙ্কা করে জেলাশাসকের কাছে আমরা ব্লক অফিসে দলের জয়ী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাতে বলেছিলাম। তিনি জানিয়েছিলেন নিয়ম নেই। আর জেলা পরিষদ ভবনের বাইরে এ দিন শপথগ্রহণ হল। ওখানে তৃণমূলের লোকেরা জমায়েত করেছিল। আমাদের দলের সদস্যদের উপর হামলা হতে পারত। সে জন্য জেলাশাসকের অফিসেই তাঁরা শপথ নেন।”
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের ৪৬টি আসনের মধ্যে ৪১টি তৃণমূল ও চারটি সিপিএম ও একটি সিপিআই জিতেছে। বাঁকুড়া শহরের কলেজ রোড লাগোয়া জেলা পরিষদের অডিটোরিয়াম চত্বরে শপথগ্রহণ দেখতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তৃণমূলের কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক এসেছিলেন। সকালে তাঁদের জন্য ছিল জলখাবারের আয়োজন। দুপুরে অরূপবাবুর পার্কে তাঁদের খাওয়ানো হয় খিচুড়ি ও আলুপোস্ত।
|