নিজস্ব সংবাদদাতা • রানাঘাট |
রাজ্যে পালাবদলের পরেই বীরনগর পুরসভায় ক্ষমতা বদলের ইঙ্গিত মিলেছিল। বছর দুয়েক ধরে টানাপোড়েন চলার পরে শুক্রবার বাস্তবিকই বদলে গেল নদিয়ার ওই পুরসভার ক্ষমতা।
এ দিন, পুরপ্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়, উপ-পুরপ্রধান স্বপন দাস-সহ পুরসভার ৯ জন কংগ্রেস কাউন্সিলরই যোগ দিলেন শাসকদলে। জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, জেলা পরিষদের সদ্য নির্বাচিত সভাধিপতি বাণীকুমার রায়ের উপস্থিতিতে শুক্রবার দলবদলের পরে পার্থবাবু বলেন, “প্রথম থেকে আমি সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। কংগ্রেসে থেকে এই লড়াই সম্ভব নয় বুঝতে পেরেই দল ছাড়লাম।”
গৌরীবাবুও জানিয়েছেন, “ওঁরা যে সকলেই তৃণমূলে আসতে চান, তা অনেক দিন ধরেই বলছিলেন। এ দিন ওঁরা দলে আসার কথা ঘোষণা করেছেন। দিন কয়েকের মধ্যেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ওঁরা তৃণমূলে যোগ দেবেন।”
২০০০ সাল থেকেই বীরনগর পুরসভা কংগ্রেসের দখলে। ২০১০ সালে পুরনির্বাচনের ঠিক আগে আচমকাই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন পুরপ্রধান নন্দদুলাল রায়। তবে, পুর নির্বাচনে কংগ্রেসকে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। ১৪ আসনের পুরসভায় ৯টিতেই জয়ী হয়েছিল তারা। তৃণমূলের দখলে ছিল ৪টি আসন। অন্য আসনটি পেয়েছিল সিপিএম। কিন্তু পালাবদলের পর থেকেই ওই পুরসভায় ‘দলবদলের’ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। এ দিন দলত্যাগীদের প্রসঙ্গে নদিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর সিংহবলেন, “ক্ষমতা ভোগের প্রবণতা এবং আর্থিক প্রলোভনেই দল বদল করেছেন ওঁরা।” |