শিক্ষকদের চাপে ফের মনোনয়ন
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করার পরেও পিছু হঠতে বাধ্য হলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের চাপে ফের মনোনয়ন নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হল। এ বার অবশ্য ইচ্ছুক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এমনটাই ঘটল মেদিনীপুর টাউন স্কুলে (বালক)। নির্বাচনে যোগ দিতে পারায় তাঁরা বেজায় খুশি। মনোনয়ন জমা দেওয়া শিক্ষক সব্যসাচী দাস ও অনন্যা পাণ্ডে বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চেয়েছিলাম মাত্র। কিন্তু সেই সুযোগটাও পাচ্ছিলাম না। অবশেষে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হই। এরপর নির্বাচনে হারলেও দুঃখ থাকবে না।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিবেকানন্দ চক্রবর্তী বলেন, “প্রথম বিজ্ঞপ্তির পর নির্দিষ্ট সময়ে চার জন ছাড়া অন্য কারও মনোনয়ন না পড়ায় তাঁদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী বলে জানিয়েছিলাম। পরে অবশ্য দাবি ওঠে, কেউ কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছেও বিষয়টি যায়। তাঁর পরামর্শেই ফের সকলকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।” তবে এর জন্য আগে ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী’দের অবশ্য নতুন করে মনোনয়ন জমা দিতে হবে না।
স্কুল পরিচালন সমিতির শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার। সোমবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু সে দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলে গরহাজির ছিলেন বলে অভিযোগ। ফলে আগ্রহী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। যদিও প্রধান শিক্ষকের দাবি, সে দিনই চার জন মনোনয় ন জমা দিয়েছিলেন। সহ-প্রধান শিক্ষক রাজবল্লভ দে, সহ-শিক্ষক শিশিরকুমার সিংহ, প্রবীরকুমার মিস্ত্রি ও শিক্ষাকর্মী দীপক চক্রবর্তীকে বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বীতায় জয়ী বলে ঘোষণা করে দেন তিনি। তারপরই স্কুলের বেশির ভাগ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী প্রতিবাদে সরব হন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, প্রধান শিক্ষক নিজের পছন্দ মতো শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীকে প্রতিনিধি করার জন্যই গোপনে নির্বাচন করিয়ে দিয়েছিলেন। তাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চেয়ে স্কুলে, জেলা পরিদর্শকের অফিসে অবস্থানে বসেন শিক্ষকেরা। জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগও করেন তাঁরা। তা ছাড়া সংসদ, শিক্ষামন্ত্রীকে ফ্যাক্স মারফৎ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানান।
এর পরই বৃহস্পতিবার ফের নতুন করে নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেন প্রধান শিক্ষক। এ দিন আরও ৬ জন নতুন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মনোনয়ন জমা দেন। নির্বাচন হবে ২০ সেপ্টেম্বর। পুণরায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে এই বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই স্কুলে উৎসবের চেহারা নেয়। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী শিক্ষকেরা অবশ্য এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.