তাঁদের বেতন বেড়েছে। জুডো-ক্যারাটের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট উর্দি মেলেনি হাওড়া জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় কর্মরত ‘ভিলেজ পুলিশ’-এর কর্মীদের। ফলে, নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ওই কর্মীদের একটা বড় অংশ। এখন সাদা পোশাকেই কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের।
জেলা পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, খাকি নয়, ‘ভিলেজ পুলিশ’-এর উর্দির রং হবে আলাদা। ওই উর্দির জন্য টাকা চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই উর্দি দেওয়া হবে ভিলেজ পুলিশকে।
হাওড়ায় বছরখানেক আগেই ১৫৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটিতে একজন করে ‘ভিলেজ পুলিশ’ নিয়োগ করা হয়। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, নিয়োগের কয়েক মাস পরেই ‘ভিলেজ পুলিশ’দের উর্দি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রত্যেকের শরীরের মাপজোক নেওয়া হয়। কিন্তু তারপর থেকেই সব চুপচাপ হয়ে গিয়েছে।
জেলা পুলিশের উদ্যোগে ইতিমধ্যে ভিলেজ পুলিশদের প্রথম পর্যায়ের শারীরিক সক্ষমতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে জুডো-ক্যারাটের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে রাজ্য পুলিশের একজন জুডো প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে। আগে ‘ভিলেজ পুলিশ’-এর কর্মীদের একমাস কাজ করিয়ে ২২ দিনের পারিশ্রমিক দেওয়া হত। এখন তাদের ৩০ দিনের পারিশ্রমিকই দেওয়া হচ্ছে। কাজের পরিধিও বেড়েছে। পঞ্চায়েত এলাকায় আইনশৃঙ্খলার উপরে নজরদারি চালানোর কথা তাদের। কিন্তু এখন তারা থানাকেও অনেক সাহায্য করে।
কিন্তু উর্দি না-পাওয়ায় কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভিলেজ পুলিশকর্মীর একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, গ্রামের মানুষ এখনও পর্যন্ত উর্দিকে বেশ সমীহের চোখে দেখে। আগে গ্রামে পাহারা দিতেন চৌকিদার। তাঁদেরও বিশেষ ধরনের উর্দি ছিল। তাই এই কাজে উর্দি জরুরি।
|