|
|
|
|
সন্ধ্যা হলেই অমিল যান, ভোগান্তিতে নিত্যযাত্রীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
সূর্য ডুবলেই উধাও যানবাহন। কাজ সেরে দিনের শেষে বাড়ি ফিরতে কালঘাম ছুটে যায় নিত্যযাত্রীদের। বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ চরমে ওঠে। বছরের পর বছর এ ভাবেই পরিবহণ সমস্যায় জেরবার হচ্ছেন গড়িয়ার নয়াবাদ, পাঁচপোতা, দাসপাড়া, মুকুন্দপুর, পিয়ারলেস হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাতে গোনা কয়েকটি বাস দিনে দু’তিন ঘণ্টা অন্তর চললেও সন্ধ্যার পরে বাস প্রায় থাকে না বললেই চলে। এই অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা মূলত অটো আর রিকশার উপরে নির্ভরশীল। কিন্তু সন্ধ্যা ছ’টার পরে তাও মেলেনা বলে অভিযোগ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। কখনও অটো বা রিকশা মিললে তারা আবার ইচ্ছেমতো ভাড়া চায়। অনেক সময় বেশি ভাড়া দিয়েও যানবাহন পাওয়া যায় না। যাত্রীরা জানান, তখন ইর্স্টান মেট্রোপলিটন বাইপাস সংলগ্ন অজয়নগর, হাইল্যান্ড পার্ক এলাকা থেকে হেঁটে বাড়ি ফেরা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না।
স্থানীয় বাসিন্দা সম্রাট মুখোপাধ্যায়ের কথায়: “নয়াবাদ এলাকায় আমার বাড়ি। প্রতি দিন অফিস থেকে ফেরার সময়ে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকা খরচ হয় শুধু রিকশায়। তাও সবসময় পাই না। সন্ধ্যার পরে অটো পাওয়াও কষ্টকর হয়ে ওঠে।” |
|
|
সন্ধের পর নেই যানবাহন। ছবি: অমরেশ চক্রবর্তী |
|
ই এম বাইপাস হওয়ার পরে এই এলাকায় একটু একটু করে জনবসতি বাড়তে শুরু করে। অন্য দিকে, মেট্রোরেলের লাইন টালিগঞ্জ থেকে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত সম্প্রসারিত হওয়ার পরে গত কয়েক বছরে এলাকায় জনবসতির চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, জনবসতি বাড়লেও এলাকার পরিবহণ ব্যবস্থার কোনও সুরাহা হয়নি। এলাকাবাসী জানান, এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বার বার আবেদন জানিয়ে কোনও সাড়া মেলেনি।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই ধরনের সমস্যা রয়েছে। এই এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করেছে পরিবহণ দফতর। এই সব এলাকা-সহ সমগ্র জেলায় সাড়ে তিনশো নতুন রুটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই সব রুটে নতুন করে বাস ও অন্যান্য যানবাহনের ব্যবস্থা করা হবে।
পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “নয়াবাদ এলাকার সমস্যার কথা জানি। এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের। তবে আমরা যে নতুন রুটগুলির অনুমোদন দিয়েছি সেই ব্যবস্থায় নয়াবাদ এবং সংলগ্ন এলাকাকে যুক্ত করা হবে। আশা করছি এতে ওই এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার অনেকটাই সুরাহা হবে।” |
|
|
|
|
|