গত ছ’ মাসে ১০০ দিন প্রকল্পে বীরভূমের গড় সন্তোষজনক নয়। সম্প্রতি নব নির্বাচিত প্রধানদের নিয়ে সিউড়ি ডিআরডিসি হলে জেলা প্রশাসন আয়োজিত একটি বৈঠকে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, সমস্ত ব্লকের বিডিও এবং প্রশাসনের অন্যান্য কর্তারা। বৈঠকে ১০০ দিন কাজের প্রকল্প নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন প্রকল্পের জেলা নোডাল অফিসার বিশ্বজিৎ মোদক। ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, গত বছর ওই ছ’ মাসে বীরভূমে ৭৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯৬৭টি শ্রম দিবস তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এ বারে তা হয়েছে ২৮ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪৩২ দিন।
প্রশাসন তখন ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৬৮৯টি পরিবারকে কাজ দিতে পেরেছিল। তুলনায় এ বার কাজ পেয়েছেন ২ লক্ষ ১০ হাজার ৫৭৭টি পরিবার। একই সময় কালে গত বার ১০০ দিন প্রকল্পে কাজের গড় ছিল ২৩.৭০। এ বার তা আরও কমে হয়েছে ১৩.৪৬। গত বছর ওই সময়ে ১০০ দিন কাজ করেছেন ১৪৮৮ জন। এ বার পেয়েছেন মাত্র ২২৭ জন। |
জেলায় কাজের হিসেব |
• গত বছর এই ছ’ মাসের মধ্যে ৭৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯৬৭টি
শ্রমদিবস
তৈরি হয়েছিল। এ বার ২৮ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪৩২টি শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে।
• কাজ পেয়েছিল ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৬৮৯টি পরিবার।
এ বার ২ লক্ষ ১০ হাজার ৫৭৭টি পরিবার কাজ পেয়েছে।
• কাজ করেছিলেন ১৪৮৮ জন। এ বার মাত্র ২২৭ জন কাজ করেছেন! • গত বছর কাজের গড় ছিল ২৩.৭০। এ বার ১৩.৪৭। |
|
এ দিকে ওই বৈঠকে কয়েক জন প্রধান অভিযোগ করেছেন, কয়েকটি জায়গায় ঠিকাদারের মাধ্যমে জেসিবি দিয়ে ১০০ দিন প্রকল্পের মাটি কাটার কাজ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে খয়রাশোলের কথা অভিযোগে উঠে এসেছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে অবশ্য জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা কোনও জবাব না দিয়ে চুপচাপই ছিলেন। তবে গত বারের তুলনায় এ বছর কয়েক মাসে কাজ কম হওয়ার কারণ হিসেবে জেলা প্রশাসন বেশ কয়েকটি কারণকে দায়ী করেছে। তাঁদের দাবি, প্রথমত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে টালবাহানা এবং দ্বিতীয়ত পঞ্চায়েত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া। গত ২৫ জুন পঞ্চায়েত বোর্ডগুলির মেয়াদ শেষ হওয়ায় পঞ্চায়েতের অন্যান্য কাজের সঙ্গে ১০০ দিন প্রকল্পের কাজ চালিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিডিও এবং নির্বাহী সহায়ক। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার মত, “ওই সময়ে পঞ্চায়েতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় কাজের গতি কমেছে।” |