মারধরের অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাজনগর |
বিবাহ বিচ্ছেদের মমলা চলছে। এরই মধ্যে স্ত্রীকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠল স্কুলশিক্ষক স্বামী ও এক মহিলার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে রাজনগর থানার ছোটবাজার এলাকায়। চৈতালি দাস নামে জখম ওই বধূ বর্তমানে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি। অভিযুক্তরা হলেন বিকাশ চন্দ্র দাস ও চন্দনা দাস। বিকাশবাবু রাজনগরের তাঁতিপাড়া অঞ্চলের ছাতিনা প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। চৈতালীদেবীও রাজনগরের খাসবাজার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। তাঁর অভিযোগ, “চন্দনা স্বামীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। ওরা আমাকে মারধর করার পরে থানায় গেলে পুলিশ সে ভাবে গুরুত্ব দেয়নি। পরে বাবা ওদের দু’জনের নামে অভিযোগ জানালেও এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ।” অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ জানায়, বিকাশবাবু ও চন্দনাদেবীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধারায় ইতিমধ্যেই মামলা শুরু করা হয়েছে। তাঁরা পলাতক। খোঁজ চলছে। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে বিকাশবাবুই বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে মমলা করেন। তার পাল্টা হিসাবে চৈতালীদেবী বধূ নির্যাতন ও খোরপোষের মামলা করেন। পুলিশ অভিযুক্তরা পলাতক বললেও বিকাশবাবু শুক্রবার নিজের স্কুলেই ছিলেন। তাঁর দাবি, “চন্দনা আমার স্ত্রী নয়। কাজের মেয়ে। আমার এক বন্ধুর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকায় আমি বিচ্ছেদ চেয়েছিলাম। সেই রাগে চৈতালী ওই বন্ধুর সঙ্গে এসে আমার বাড়ির কাজের মেয়ে চন্দনাকে মারধর করে নিজেই মাথা ফাটিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে।”
|
শুক্রবার দুবরাজপুরে। —নিজস্ব চিত্র। |
সামনেই দুবরাজপুর পুরসভা নির্বাচন। ভোট প্রচারে শুক্রবার দুবরাজপুর ঘুরে গেলেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীররঞ্জন চৌধুরী। এ দিন তিনি চারটি সভা করেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রথম সভা করেন তিনি। তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “যে সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল, দলতন্ত্র নয় গণতন্ত্রে চাই। সেই সরকারের হুঙ্কারে এখন মানুষ ভোটে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছেন। পঞ্চায়েত ভোটে তা দেখলেন। এখানেও আমাদের না কি ভোটে দাঁড়াতে দেবে না বলেছিল। আমরা বললাম, গণতন্ত্রে বাস করি। আমরা ভোটে দাঁড়াবই।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম না করেও তাঁকে বীরবাহাদুর বলে কটাক্ষ করেন। |