তিন ঘণ্টার ব্যবধানে সভা করলেন মুকুল রায় এবং সূর্যকান্ত মিশ্র। শোনা গেল অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগ। আর তাতেই প্রচারের পারদ তুঙ্গে উঠল মেখলিগঞ্জ পুরসভা নির্বাচনে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা নাগাদ তৃণমূলের সভা শুরু হয় মেখলিগঞ্জ বাজারের গরুহাটিতে। সেই সভা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। সভায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, “এলাকা উন্নয়নে ব্যর্থ বামফ্রন্ট। মেখলিগঞ্জকে শুধু পুরসভা করে রাখা হয়েছে। কিন্তু উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। রাস্তা, জল, নিকাশি কিছুই নেই বললেই চলে। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে। তৃণমূল মেখলিগঞ্জ পুরসভার ক্ষমতায় এলে স্বাভাবিক ভাবে উন্নয়ন হবে।” মেখলিগঞ্জ থেকে হলদিবাড়ি যাতায়াতের জন্য তিস্তায় সেতু না হওয়া নিয়েও কটাক্ষ করে মুকুলবাবু বলেন,“বামেরা ক্ষমতায় থাকতে কিছু করতে পারেনি। এখন ক্ষমতার বাইরে থাকায় আরও কিছু করতে পারবে না।” তিস্তায় সেতুর উদ্যোগ, চ্যাংরাবান্ধায় আইটিআই কলেজ তৈরির কাজ শুরু এবং মেখলিগঞ্জ হাসপাতালকে মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিন বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ পুরসভা মোড়ে বামফ্রন্টের সভা হয়। সভায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “মেখলিগঞ্জের পুরসভা হয়েছে বামেদের আমলে। এলাকারক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় থাকার সময় কোনও পুরসভা বিরোধী দখলে থাকলে কাজ হবে না এ রকম কথা বলিনি। এমন দৃশ্য দেখা যায়নি। এখন যিনি পঞ্চায়েত মন্ত্রী তিনি বাম আমলে কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েই সমস্ত সুযোগ সুবিধে নিয়েছেন।” পাশাপাশি তাঁর হুমকি, “আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না। এলাকা উন্নয়ন্যে সরকারি বরাদ্দের টাকা আন্দোলন করে নিয়ে আসব। উন্নয়নের টাকা কারও ব্যক্তিগত নয়।” এ দিন মাথাভাঙাতেও কর্মীসভা করেন সূর্যকান্ত মিশ্র। ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক পরেশবাবু বলেন, “আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করে তৃণমূলের লাভ হবে না। এলাকার মানুষই জানেন এলাকায় কারা কী উন্নয়ন করেছে।” |