হাসপাতাল চত্বরে ছড়িয়ে রয়েছে আবর্জনা ও জৈব বর্জ্য বা বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্টেজ। যার কারণে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাঁদের আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে। অভিযোগ, দিনের পর দিন ধরে বর্জ্য ছড়িয়ে থাকছে হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে আবর্জনা ফেলার পিট ভর্তি হয়ে যাওয়ায় তার আশপাশে খোলা জায়গাতেই ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। হাসপাতালে রোগী দিলীপ মুখোপাধ্যায়, মিনারা বিবিরা বলেন, “হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড বা সামনের চত্বর ঠিক মতো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় না। দুর্গন্ধ বেরোয়।” হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, জৈব বর্জ্য থেকে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনাও প্রবল।”
ক্যানিং হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই বর্জ্য তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা একটি বেসরকারি সংস্থার। কিন্তু সেই সংস্থা অনেক দিন ধরেই তা করছে না। অন্য দিকে, পুর এলাকাগুলি থেকে হাসপাতালের বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পুরসভার। পঞ্চায়েত এলাকায় এই কাজ করার কথা পঞ্চায়েতের। |
যেহেতু ক্যানিং হাসপাতাল দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের, সেহেতু তাদেরই এই কাজ করার কথা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনের তুলনায় হাসপাতালের সুইপার, গ্রুপ ডি স্টাফ অনেক কম। তাই সময় মতো তা পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না।
ক্যানিং হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, “সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন কীভাবে করা যায়, তার জন্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করব।”
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম দাস মালাকার বলেন, “হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্টেজ পরিষ্কার করার কথা একটি বেসরকারি সংস্থার। কেন তারা কাজ করছেন না, তা খতিয়ে দেখব। অন্যান্য সমস্যাগুলি নিয়ে সুপারের সঙ্গে কথা বলব।”
দিঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেফালি রায় বলেন, “হাসপাতালের আবর্জনা পরিষ্কারের ব্যাপারে টেন্ডার হয়েছে। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে।” |