হলং-এ সেতু না সারানোয় ক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
মাস খানেক আগে নদীর জলের তোড়ে ভেঙে যাওয়া হলং সেতু মেরামতির কাজ শুরু না হওয়ায় জলদাপাড়া বেড়াতে আসা পর্যটকদের ভোগান্তির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনমাস বন্ধের পর আগামী সোমবার থেকে জলদাপাড়া জঙ্গল পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। জলদাপাড়ার আকর্ষণ এক শৃঙ্গি গন্ডার দেখতে ও হলং বাংলোতে রাত কাটাতে বহু পর্যটক অপেক্ষা করে থাকেন। কিন্তু জলদাপাড়ার জঙ্গলের ভিতরে হলং নদীর সেতু জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ায় মূল রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুজোর মরশুমের আগে ওই সেতু বন দফতর তৈরি না করায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা রীতিমত উদ্বিগ্ন। জলদাপাড়া হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক স্বপন রায় বলেন, “পুজোর মরসুমে ডুয়ার্সে পর্যটকদের ঢল নামবে। বহু লজ ও রিসর্টে আগাম বুকিং হয়েছে। সেতুটির কারণে জলদাপাড়া ঘুরতে এসে পর্যটকেরা সমস্যায় পড়বেন।” |
ভুটান পাহাড়ে অতিবৃষ্টির কারণে মাস খানেক আগে জলের
তোড়ে ভেসে গিয়েছে সেতুটি। নিলয় দাসের তোলা ছবি। |
বন দফতর সূত্রের খবর, অগস্টের মাঝামাঝি ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টির কারণে জলের তোড়ে জলদাপাড়া যাতায়াতের মাঝে হলং নদীর সেতুটি ভেসে যায়। সে সময় থেকে মাদারিহাটের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে হলং। জলদাপাড়া জঙ্গলে বন কর্মীদের ৫০ জন ছেলে মেয়েদের অধিকাংশ মাদারিহাট স্কুলের ছাত্রছাত্রী। তাদের স্কুলে যাতায়াতের জন্য বন দফতরের একটি বাস রয়েছে। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বাসটি পশ্চিম রেঞ্জের ঘন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাতায়াত করছে। তাতে বন্য জন্তুর হামলা আশঙ্কা বেড়েছে। সম্প্রতি বাসটির পাশে হাতির পাল চলে আসে। চালক কোনও মতে সেখান থেকে বাসটি বার করে নিয়ে আসেন। তিনদিন বাস বন্ধও থাকে। কোচবিহারের ডিএফও রাজেন্দ্র জাখর বলেন, “সেতু তৈরি করতে ১৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। টাকা চেয়ে ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। টাকা এলে কাজ শুরু হয়ে যাবে।” তবে পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য হলং সেতুর পাশে নদীতে মাটি ফেলে বিকল্প রাস্তা তৈরি করার কাজে চলছে বলে ডিএফও জানান। তিনি বলেন, “সেতুর পাশে অস্থায়ী রাস্তা তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। সেখানে অনায়াসে গাড়ি চলতে পারবে।” তবে বৃষ্টিতে নদীর জল বাড়লে রাস্তা বন্ধ বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বন কর্মীরাই। সেই সময় কী হবে তা এখনও অনিশ্চিত বলে ওই কর্মীরা জানান।
|