বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে নতুন কর্মপন্থার সন্ধানে বসছে বামেরা!
পঞ্চায়েত ভোটে বিপর্যয়ের পরে বামফ্রন্টের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে আন্দোলন-বিমুখতা নিয়ে। প্রয়োজন বিশেষে জঙ্গি আন্দোলনের পথে এগোনোর কথা উঠে এসেছে সিপিএমের রাজ্য কমিটি ও বর্ধিত কমিটির বৈঠকে। দল ও ফ্রন্টের মধ্যে থেকেই সেই দাবির কথা মাথায় রেখে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে সুর আরও চড়ানোর জন্য ঘুঁটি সাজাতে শুরু করল আলিমুদ্দিন।
পুজোর পরে শাসক দলকে উপযুক্ত দাওয়াই দেওয়া হবে বলে সদ্যই ঘোষণা করেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেব। কোন কোন বিষয় ধরে সরকারের উপরে ওষুধ প্রয়োগ করা যায়, তার সন্ধান করতেই বামফ্রন্টের সব শরিক দলের সব গণসংগঠনকে নিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর এ বার বিশেষ বৈঠক তলব করা হয়েছে। কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুব ও মহিলা ফ্রন্টের সব শরিক নেতৃত্বকে শ্রমিক ভবনে ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। গত বছরদশেকে ফ্রন্টের সব গণসংগঠনকে একত্রে ডেকে এমন বৈঠক হয়নি বলেই বাম সূত্রের বক্তব্য। অতীতে এই ধরনের যৌথ উদ্যোগের পরিচালক হিসাবে দেখা গিয়েছিল সিটু নেতা তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল চক্রবর্তীকে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে এ বারের বৈঠকের আহ্বায়ক সিপিএমের কৃষক সভার নেতা তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মদন ঘোষ।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, “দলের মধ্যে বারবার প্রশ্ন উঠলেও আমরা বলে এসেছি, এত বছর বামফ্রন্টের সরকার ছিল। নতুন সরকারের বিরুদ্ধে গোড়াতেই কোমর বেঁধে নেমে পড়লে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠবে। কিন্তু সরকার যে ভাবে চলছে, তাতে সব বিষয়ে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। যেখানে যেমন ভাবে প্রয়োজন, রাস্তায় নামতেই হবে।” সিপিএম নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, সরকারের গঠনমূলক কাজ দেখলে এখনও শুধু বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করা হবে না। কিন্তু প্রতিবাদের প্রয়োজন দেখলে রাস্তায় নেমেই লড়াই হবে। সেই জন্যই কোন বিষয়ে আন্দোলন, সেই বিষয় চিহ্নিত করার উপরে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে আলিমুদ্দিন।
বাম নেতাদের মতে, রাজ্যের কৃষি বাজারের দরজা খুলে দেওয়া, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বা কর্মসংস্থানের প্রশ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে চেপে ধরার সুযোগ আছে। |