আগে থেকে ঠিক থাকলেও আগামী মাস পয়লায় নতুন মহাকরণে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১ তারিখের বদলে ৫ অক্টোবর হাওড়ার নতুন মহাকরণে যাচ্ছেন তিনি। প্রশাসনিক সূত্রে বলা হয়েছে, ৪ অক্টোবর মহালয়া। মুখ্যমন্ত্রী তার আগে মহাকরণ-বদল চাইছেন না। তবে স্বরাষ্ট্র, ভূমি, অর্থের মতো অন্য দফতরগুলি নির্দিষ্ট সূচি মেনেই যাবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। প্রশাসন সূত্রে আরও খবর, সাত দিনের মধ্যে হাওড়ায় ২৬৪টি বাস চালু হচ্ছে, নতুন করে ৬০০ ট্যাক্সির পারমিট দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, মহাকরণের বহু দফতর স্থায়ী ভাবে এইচআরবিসি ভবনে থেকে যাবে। চার-পাঁচ বছরের মধ্যে কয়েকটি দফতর চলে যাবে ডুমুরজলায়।
|
রাজ্য জুড়ে রাস্তা সারানোর জন্য ১২৭টি পুরসভাকে ১৫৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বৃহস্পতিবার মহাকরণে জানান, পুজোর আগে ভারী বৃষ্টি না-হলে রাস্তা সারাইয়ের কাজ অনেকটাই হয়ে যাবে। কলকাতা পুরসভা-সহ অধিকাংশ পুর এলাকাতেই ভাঙাচোরা, বেহাল রাস্তার জন্য অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার। বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে ইএম বাইপাস, ভিআইপি রোড-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাতেও। বিমানবন্দর থেকে বারাসত সড়ক, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে, ডায়মন্ড হারবার রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় গাড়ি চালানোর মতো পরিস্থিতিও নেই বলে অভিযোগ পরিবহণ-মালিকদের। মহাকরণ সূত্রের খবর, রাস্তার দুর্দশার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও পৌঁছেছে। এই অবস্থায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের বাইরে অন্যান্য তহবিল থেকে ১৫৭ কোটি টাকা জোগাড় করে বিভিন্ন পুরসভার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। পুরমন্ত্রী জানান, এ বার প্রচণ্ড বৃষ্টির জন্য রাস্তা বেশি খারাপ হয়েছে। আগামী ১০-১২ দিন বৃষ্টি না-হলে রাস্তা সারাইয়ের কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি পুরসভাকে দরপত্র ডেকে ঠিকাদার সংস্থা বাছাইয়ের কাজ সেরে রাখতে বলা হয়েছে। যাতে মেরামতির সুযোগ এলে সময় নষ্ট না-হয়।”
|
ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ গড়ে তুলবে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থা তাঁদের সরাসরি নিয়োগ করবে। এই ব্যবস্থায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও বহু বেকার ছেলেমেয়ের চাকরি হবে বলে দাবি করেছেন রাজ্যের উদ্যান পালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী সুব্রত সাহা। বৃহস্পতিবার উদ্যানবিদ্যা নিয়ে এক আলোচনাসভায় তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুদ্র শিল্পে ৬০ হাজার কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন। তার মধ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পও রয়েছে। মালদহ ও মুর্শিদাবাদে যে-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে, প্রশিক্ষিত কর্মীরা সেখানে চাকরির সুযোগ পাবেন। এ বিষয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করবেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ফলের গাছ বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে উদ্যান দফতর। আম, লিচু-সহ বিভিন্ন ফলের প্রায় পাঁচ লক্ষ গাছের চারা বিতরণ শুরু হয়েছে। বর্ধমান, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ-সহ কয়েকটি জেলায় বিনামূল্যে ওই চারা দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে এক কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
|
রাজ্যের ১২টি পুরনির্বাচনের প্রচারে রাজ্য সরকার এখনও কোনও অতিরিক্ত পুলিশ দেয়নি। এমনকী এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তারা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চিঠির উত্তরও দেয়নি। সরকার ভোটের প্রচারে অতিরিক্ত পুলিশ না-দেওয়ায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে ক্ষুব্ধ। সোমবার তিনি এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি দেন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সরকারের তরফে তার উত্তর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্বরাষ্ট্রসচিব এ দিনও চিঠির জবাব দেননি। ক্ষুব্ধ কমিশন আজ, শুক্রবার সরকারকে ফের চিঠি দিচ্ছে। ১২টি পুরসভায় ভোট হবে ২১ সেপ্টেম্বর। কমিশন সূত্রের খবর, ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে অতি স্পর্শকাতর কিছু পুর এলাকায় রাজনৈতিক বিরোধ বাড়ছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি-র সঙ্গে কমিশনের বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, ভোটের প্রচার পর্বে অতি স্পর্শকাতর পুর এলাকায় এক কোম্পানি এবং স্পর্শকাতর পুর এলাকায় আধ কোম্পানি করে সশস্ত্র পুলিশ দেবে সরকার। |