শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করে পুলিশি নিরাপত্তার আবেদন জানালেন সন্দেশখালির কালীনগর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনোরঞ্জন নস্কর। মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধাননগরে বিকাশ ভবনে যান তিনি।
গত ৩১ অগস্ট কলেজে প্রহৃত হন মনোরঞ্জনবাবু। অভিযোগ, তাঁকে চেন দিয়ে মারা হয়, ভাঙচুর চালানো হয় তাঁর ঘরে। এই ঘটনার অভিযুক্ত এসএফআই। এই ঘটনায় জড়িত ২৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতারও করে।
উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের মেঘনাদ সাহা কলেজ, সন্দেশখালির কালীনগর কলেজ, দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর আব্দুলগনি দেওয়ান কলেজে একের পর এক ঘটনায় ছাত্রদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন শিক্ষকেরা। বাদ যাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকেরাও। সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন মন্তব্য করেছিলেন, “আমার মনে হয় অভিযুক্ত ছাত্রদের পিটিয়ে ঠান্ডা করা উচিত। অধ্যক্ষের গায়ে হাত তোলার অধিকার কারও নেই।” রাজ্যপালের এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্কও হয়েছে। বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোরঞ্জনবাবু শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলেন। এ দিন দুপুরে তাঁকে মন্ত্রীর দফতরে আসতে বলা হয়। ব্রাত্যবাবু পরে বলেন, “এসএফআই এবং স্থানীয় সিপিএমের কিছু সদস্যের সঙ্গে ওঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। কী ভাবে ওই দিন তাঁকে মারধর করা হয়, তাও বিস্তারিত জানান।” শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, “উনি কলেজে ফেরার পরে প্রথম কিছু দিন পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে আবেদন জানিয়েছেন। ওঁকে বলেছি, উনি যে দিন কলেজে ফিরবেন, তার আগে আমার আপ্ত সহায়ককে বিষয়টি জানাতে। তখন ওঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।” |