নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে তার জেঠতুতো দাদাকে গ্রেফতার করল শাসন থানার পুলিশ। ৮ সেপ্টেম্বর দাদপুরে ঘটনাটি ঘটে। ১০ সেপ্টেম্বর শাসন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পর দিন, বুধবার সাদেক আলি মিস্ত্রি নামে বছর বাইশের ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বারাসত আদালত তোলা হলে জেলহাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। মেয়েটিকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ দিন জেলা আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের ঘরে মেয়েটির গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কদম্বগাছি হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ঘটনার দিন দুপুরে বৃষ্টি আসায় মাঠ থেকে পাট তুলে আনতে বলেছিলেন তার মা। পথে সাদেক তাকে বাড়িতে ডাকে। সে সময়ে সাদেকের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে বাড়িতে ছিল না। ছাত্রীকে ঘরে ঢুকিয়ে সে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়েটি। পরে মাকে সব জানায়। জানাজানি হয় গ্রামেও। সালিশি সভা বসে। অভিযোগ, সালিশি সভায় সাদেক-ঘনিষ্ঠ কিছু লোকজন ওই নাবালিকার বাবা-মাকে থানায় অভিযোগ জানাতে বাধা দেন। পর দিন, ৯ সেপ্টেম্বর বারাসত থানায় অভিযোগ জানাতে যান ওই দম্পতি। তাঁদের দাবি, বারাসত থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে তাঁদের শাসন থানায় যেতে বলে। ১০ তারিখ তাঁরা শাসন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পর দিন সাদেককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ছাত্রীর বাবা-মার দাবি, থানায় অভিযোগ করার পর থেকে তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন এলাকার কিছু লোকজন। এ ব্যাপারে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার (উত্তর) ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু হয়েছে। হুমকির ব্যাপারেও তদন্ত করছি আমরা।” |