সুটিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে এ বার বরুণ বিশ্বাস হত্যা-মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলল কামদুনি।
বৃহস্পতিবার সুটিয়ার নিহত প্রতিবাদী স্কুলশিক্ষক বরুণ বিশ্বাসের ৪১তম জন্মদিন উপলক্ষে সুটিয়া প্রতিবাদী মঞ্চের তরফে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মৌসুমি কয়াল-সহ কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের ২০ জন নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সুটিয়ার সুরে সুর মেলান। বরুণ হত্যার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে মৌসুমি বলেন, “আমরা এবং সুটিয়া প্রতিবাদী মঞ্চ এক সঙ্গে আন্দোলন করব। সেই আন্দোলন গোটা দেশে ছড়াবে। যাতে যাতে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ করে আর কোনও বরুণের প্রাণ না
যায়। আর যেন কোনও কামদুনি-কাণ্ড না হয়।” সুটিয়া প্রতিবাদী মঞ্চের সভাপতি ননীগোপাল পোদ্দার বলেন, “কামদুনি-সুটিয়া এক সঙ্গে লড়লে নির্যাতিতাদের মনোবল বাড়বে।
আমরা চাই সব আন্দোলনকারী এবং প্রতিবাদীরা এক ছাতার তলায় আসুক। এতে মানুষের প্রতিবাদের সাহস বাড়বে।” |
চলতি বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি কামদুনির কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পরে খুন করে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের চরম শাস্তি এবং সিবিআই তদন্তের দাবিতে গ্রামবাসীদের সেই আন্দোলনে সামিল হয়েছিল সুটিয়া। যে সুটিয়ার স্কুলশিক্ষক বরুণ বিশ্বাস নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছিলেন। খুন হন গত বছর। সেই সুটিয়ায় এ বার এল কামদুনি। আরও এক জায়গায় মিলল কামদুনি ও সুটিয়া। কামদুনির ঘটনাকে আমির খান তাঁর ‘সত্যমেব জয়তে’ অনুষ্ঠানে তুলে ধরতে চেয়েছেন। এ দিন সুটিয়া বাজারে বরুণের জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও হাজির ছিলেন ‘সত্যমেব জয়তে’ টিমের কোর কমিটির সদস্য সৌরভ বসু। গোটা অনুষ্ঠানটির ভিডিওগ্রাফি করেন তিনি। সৌরভ বলেন, “এই ছবি আমিরের কাছে পাঠানো হবে। তিনি চেয়েছেন।”
অনুষ্ঠান-মঞ্চে বরুণের বাবা জগদীশবাবু এবং মা গীতাঞ্জলিদেবীও ছিলেন। মৌসুমির কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েন গীতাঞ্জলিদেবী। মৌসুমিকে আশীর্বাদের পাশাপাশি প্রতিবাদে সাহসও দেন। মৌসুমি বলেন, “কামদুনির মতো এখানেও দোষীদের চরম শাস্তি চাই। আমরা পরিবারের মতো হয়ে এই দাবিতে আন্দোলন করব।” মৌসুমিদের সঙ্গে এসেছিলেন কামদুনির নিহত কলেজ ছাত্রীর ভাইও। ওই গ্রামের বৃদ্ধ প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “সুটিয়া-কামদুনি এক সঙ্গে লড়াই করলে তা আরও জোরদার হবে। বিচার পেতে সুবিধা হবে।
এ দিন সুটিয়া প্রতিবাদী মঞ্চের শাখা সংগঠন হিসেবে আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় যুব প্রতিবাদী মঞ্চের। বরুণ যে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, কলকাতার সেই মিত্র ইনস্টিটিউশন (মেন) পড়ুয়ারাও অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। বরুণ-স্মরণে আলাদা ভাবে অনুষ্ঠান হয় সুটিয়া-বারাসত পল্লি উন্নয়ন বিদ্যাপীঠেও।
|