|
|
|
|
রাস্তা আটকে স্টোনচিপস্, পুরসভায় গেলেন বাসিন্দারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাস্তার উপরেই ফেলে রাখা হচ্ছে বালি, ইট, স্টোনচিপস্। সঙ্কীর্ণ পথে যাতায়াত করা দায়। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটছে। এই ছবি চোখে পড়বে মেদিনীপুর শহরের সর্বত্র। সমস্যা সমাধানে পুর-কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হলেন শহরের বক্সীবাজার এলাকার বাসিন্দারা। পুরসভার প্রশাসক তথা মহকুমাশাসক (সদর) অমিতাভ দত্তর দফতরে লিখিত অভিযোগপত্রে তাঁরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার একটি রাস্তার উপর চিপস্ পড়ে রয়েছে। এর ফলে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। |
|
বেদখল। পড়ে রয়েছে বাড়ি তৈরির সরঞ্জাম।
মেদিনীপুরের স্টেডিয়াম যাওয়ার রাস্তা। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
মেদিনীপুর শহরের বড় রাস্তাগুলোর একাংশ গিয়েছে হকারদের দখলে। সঙ্কীর্ণ এই সব রাস্তায় যানজট রোজকার সমস্যা। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা ও বিকেল ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শহরের মধ্যে বড় লরি ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু তা মানা হয় না। পুলিশের বক্তব্য, এ জন্য নজরদারি চলে। সেই নজরদারির ফাঁক গলে অবাধে শহরে বড় লরি ঢোকে বলে অভিযোগ। এর ফলে গোলকুয়াচক, এলআইসি মোড়, কেরানিতলার মোড়, জজকোর্ট রোড, জগন্নাথমন্দির চক বিভিন্ন এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। তার উপর রাস্তা জুড়ে বাড়ি তৈরির সরঞ্জাম পড়ে থাকায় সমস্যা আরও বাড়ছে।
শহরে এখন বহুতলের সংখ্যা বাড়ছে। রবীন্দ্রনগর, নান্নুরচক, মীরবাজার, ক্ষুদিরামনগর প্রভৃতি এলাকায় বহুতল তৈরি হচ্ছে। অভিযোগ, বাড়ি তৈরির সরঞ্জাম দিনের পর দিন রাস্তায় ফেলে রাখা হচ্ছে। সব জেনেশুনেও পুর-প্রশাসন নীরব। পুর-কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে সকলকে সচেতন হতে হবে। যারা রাস্তায় বালি, চিপস্ ফেলে রাখছেন, তাদের বোঝা উচিত, এর ফলে পথচলতি মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। |
|
|
|
|
|