|
|
|
|
খসড়া তালিকায় আপত্তি নেই |
পুরভোটের প্রার্থী বাছাই নিয়ে শুরু হল আলোচনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হতেই পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। প্রার্থী বাছাই নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। বৃহস্পতিবার রাতে শহর কংগ্রেসের এক বৈঠক হয়। প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। আগামী রবিবার বৈঠকে বসছে শহর বিজেপি। এ দিকে, এ বারও মেদিনীপুর বিকাশ পরিষদের সঙ্গে আসন সমঝোতায় যাচ্ছে বামফ্রন্টের। দলীয় সূত্রে খবর, ফ্রন্টের কাছে ৫টি আসন দাবি করেছে পরিষদ। ইতিমধ্যে একদফা আলোচনাও হয়েছে।
পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে তৃণমূলও। দলের শহর সভাপতি সুকুমার পড়্যার বক্তব্য, “বুথস্তরে কাজকর্ম শুরু হয়েছে। দলের মধ্যে পুরভোটের বিভিন্ন দিক নিয়েই আলোচনা চলছে।” সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক কীর্তি দে বক্সীর কথায়, “বামফ্রন্টের মধ্যে আলোচনা চলছে। আসন বন্টন চূড়ান্ত হলে প্রার্থী বাছাই নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।” বিজেপি এ বার ২৫টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের শহর সভাপতি অরূপ দাস বলেন, “শহরের সবক’টি ওয়ার্ডে আমরা প্রার্থী দেব। আগামী রবিবার শহর কমিটির বৈঠক রয়েছে। বৈঠকে পুরভোট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।” শহর কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন খানের বক্ত ব্য, “প্রার্থী বাছাই নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবারও আমরা আলোচনা করেছি। যত দ্রুত সম্ভব প্রার্থী-তালিকা চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলছে।” প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা মেদিনীপুর বিকাশ পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম আহমেদের বক্তব্য, “পুরভোটের প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা চলছে।” জানা গিয়েছে, আসন সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক কীর্তিবাবুর সঙ্গে একদফা আলোচনা হয়েছে বিকাশ পরিষদের চেয়ারম্যানের। ২০০৮ সালের ২৯ জুন রাজ্যের অন্য ১২টি পুরসভার সঙ্গে মেদিনীপুর পুরসভা নির্বাচন হয়েছিল। ফল বেরোনোর পর ১৮ জুলাই পুরবোর্ড গঠন হয়। এ বার নির্বাচন হওয়ার কথা ২২ নভেম্বর।
সাধারণত, পুরনো বোর্ডের মেয়াদ ফুরনোর আগেই পুর-নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু, এ বার তা হয়নি। ফলে, বোর্ডের মেয়াদ শেষে পুরসভা চলে গিয়েছে প্রশাসকের হাতে। পুরসভার প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন মহকুমাশাসক (সদর) অমিতাভ দত্ত। এখন তিনিই পুরসভার সমস্ত কাজকর্ম পরিচালনা করছেন। গত মঙ্গলবারই ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়। আগে মেদিনীপুরে ২৪টি ওয়ার্ড ছিল। এলাকা পুনর্বিন্যাসের ফলে এ বার একটি ওয়ার্ড বেড়েছে। ফলে, জেলার সদর শহরের ওয়ার্ড সংখ্যা এখন ২৫টি। এদিকে, গত নির্বাচনে জিতে পুরসভার ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস-তৃণমূল। দু’দলের জোট হয়। পুরপ্রধান হন তৃণমূলের প্রণব বসু। উপপুরপ্রধান হন কংগ্রেসের এরশাদ আলি। ভোটের আগে অবশ্য দু’দলের জোট ছিল না। দলীয় সূত্রে খবর, এ বারও জোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ভোটের পর জোটের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন দু’দলের শহর নেতৃত্ব। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে। তার আগে খসড়া তালিকা নিয়ে কারও কোনও বক্তব্য বা মতামত থাকলে তা জানানো যায়। এ জন্য খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকে দু’সপ্তাহ সময় থাকে। তবে, খসড়া তালিকা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর তেমন কোনও অভিযোগ নেই। পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবমিলিয়ে ১১টি ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় এসেছে। এরমধ্যে মহিলা সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ড। কংগ্রেস-তৃণমূল-সিপিএম-বিজেপির মতো দলগুলোর শহর নেতৃত্বের বক্তব্য, খসড়া তালিকা ঠিকই রয়েছে। |
|
|
|
|
|