রাস্তা সংস্কার হয় না। যেটুকু হয়, বার বার ভেঙে যায়। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ. বুধবার সারাদিন আটকে রাখলেন একটি ঠিকাদার সংস্থার লোকজনকে। অভিযোগ, তাঁদের মারধরও করেন গ্রামবাসীরা। শেষে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ প্রশাসন ও পুলিশের অনুরোধে কর্মীদের ছেড়ে দেন তাঁরা।
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের মাঝামাঝি আরামবাগ থেকে খানাকুলের বন্দর রাস্তার ডোঙ্গল মোড় থেকে ঠাকুরানীচক অবধি ১০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়। প্রায় ৪ কোটি টাকার ওই কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১০ সালের শেষে। কিন্তু কাঁসারপাড়ার পুকুর পাড়টির ১৭০ মিটার অংশের কাজ নিয়ে অসুবিধা দেখা যায়। সূত্রের খবর, কাজের ধরন নিয়ে দফতরের সঙ্গে ঠিকাদার সংস্থার মতভেদ এখনও মেটেনি। তবে পুরো কাজটা শেষ হয় ২০১১ সালের অক্টোবর নাগাদ।
পূর্ত দফতরের (রাস্তা) আরামবাগ শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সৌম্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তার কাজটি সম্পূর্ণ হতে ১৭০ মিটার বাকি আছে। আগে যে অংশের কাজ হয়ে গেছে সেখানে কিছু জায়গা ভেঙে যাওযায় তা মেরামত চলছিল। গ্রামবাসী সেই কাজে বাধা দিয়ে ঠিক করেননি। বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি।” ঠিকাদার সংস্থার কর্মকর্তা পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের বাসিন্দা নির্মল দাস বলেন, “রাস্তা সংস্কারে যে ১৭০ মিটার বাকি আছে, সেটি একটি পুকুরের পাড়। প্রযুক্তিগত কারণে তা শেষ করতে দেরি হচ্ছে। বাকি রাস্তার কাজ সম্পূর্ন হয়েছে। অন্য দিকে, তিন বছরের মধ্যে ওই রাস্তা ভাঙলে মেরামতের দায়িত্ব আমার। সেই কাজই চলছিল। কিন্তু স্থানীয় মানুষ অন্যায় ভাবে আমার লোকদের মারধর করে আটকে রেখেছে। বিষয়টা পূর্ত দফতরের আধিকারিক এবং জেলাশাসক, মহকুমাশাসককে জানিয়েছি। অন্য দিকে বাসিন্দাদের দাবি, মহকুমাশাসক বা পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে এসে রাস্তা সংস্কার নিয়ে নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। মহকুমাশাসক অরিন্দম রায় বলেন, “পুলিশকে বিষয়টা দেখতে বলেছি। রাস্তা সংস্কারের বিলম্ব নিয়ে গ্রামবাসীদের লিখিত অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।” |