তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে বুধবার গোঘাটের দু’টি গ্রামে গোলমাল ছড়ায়। মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। দু’টি ক্ষেত্রেই দুই গোষ্ঠীর তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তিন মহিলা-সহ ৫ জন আহত হন। তাঁদের আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “গোষ্ঠীকলহ বরদাস্ত করা হবে না। অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
ভাদুর পঞ্চায়েতের মণ্ডলগাঁতি গ্রামের ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে। এখানে ১০০ দিন কাজ প্রকল্পে একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য পারিবারিক জায়গা ছাড়া নিয়ে দুই গোষ্ঠী বচসা, হাতাহাতিতে জড়ায়। এক গোষ্ঠীর লোকজন অন্য গোষ্ঠীর লোকদের মারধর, শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। সুস্মিতা ঘোষ, নীলিমা পাল এবং প্রতিমা ঘোষ আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পালের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দলের আর এক নেতা শান্তি রায় বলেন, “ভাদুর পঞ্চায়েত ওরা দখল করার পর থেকেই নানা অজুহাতে আমার পক্ষের লোকদের মারধর করছে। মণ্ডলগাঁতি গ্রামের রাস্তার জন্য জায়গা দেওয়ার পরও অতিরিক্ত জায়গা নিয়ে আমাদের লোকদের জব্দ করতে চাইছে। সেই বাধা দিতে গিয়েই মারধর এবং শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।” মনোরঞ্জনবাবুর পাল্টা বক্তব্য, “গ্রামের উন্নয়নে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিল ওরা। গ্রামের মানুষই প্রতিবাদ করেছেন। মারধর-শ্লীলতাহানির অভিযোগ মিথ্যা।” বুধবার রাতে কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকায় আশপুর, আশুথখোলাতেও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। আশপুরের উত্তম মূর্মূ নামে এক তৃণমূল কর্মীকে এক পঞ্চায়েত প্রার্থীর এজেন্ট হওয়ায় অন্য গোষ্ঠী তাদের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, রিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে প্রার্থী হওয়ায় প্রশান্ত কোনার ও সঞ্জয় রায়চৌধুরীকে অন্য গোষ্ঠীর লোকজন আশুথখোলায় দলীয় কার্যালয়ের কাছে ব্যাপক মারধর করে বলেও পাল্টা অভিযোগ। দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’পক্ষই মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে। |