শ্রীরামপুরে ছাত্রকে মার, অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতা
ক কলেজ পড়ুয়াকে দলবল নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্রপরিষদ নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে শ্রীরামপুর কলেজ ঘাটের সামনে ওই ঘটনায় গুরুতর জখম দ্বৈপায়ন গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই ছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত বিভাস সিংহ শ্রীরামপুর কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ ও স্থানীয় স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বৈপায়নের বাড়ি স্থানীয় বটতলা এলাকায়। তিনি কলকাতার সাউথ সিটি কলেজে মার্কেটিং অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র। বুধবার সন্ধ্যায় কলেজ ঘাটে আড্ডা দিতে গিয়েছিলেন দ্বৈপায়ন। তাঁর আত্মীয়দের অভিযোগ, রাত সওয়া ৮টা নাগাদ বিকাশ ১০-১২ জন সাঙ্গোপাঙ্গ-সহ মোটরবাইকে চড়ে সেখানে আসেন। দ্বৈপায়নের এক বন্ধুর খোঁজ করে সকলে।
জখম দ্বৈপায়ন। নিজস্ব চিত্র।
ওই যুবককে না পেয়ে দ্বৈপায়নকেই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দ্বৈপায়নের মা মানসীদেবী বলেন, “ছেলের মাথায় ওরা ইট মারতে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা অন্য কিছু ছেলে ওকে বাঁচিয়ে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, দ্বৈপায়নের নাক জুড়ে ব্যান্ডেজ। স্যালাইন চলছে। মানসীদেবী জানান, ছেলের বুকে-মাথায় যন্ত্রণা রয়েছে। চিকিৎসক সিটি স্ক্যান করাতে বলেছেন। দ্বৈপায়ন বলেন, “আমার এক বন্ধুর সঙ্গে শ্রীরামপুর কলেজে ভর্তি নিয়ে বিভাসের ঝামেলা ছিল। ওরা তাকেই মারতে এসেছিল।” বিভাস এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে শ্রীরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রহৃত ছাত্রের বাড়ির লোকজন। এসডিপিও (শ্রীরামপুর) রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ অভিযোগ পেয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তৃণমূল সূত্রের খবর, ২০১২ সালে ছাত্র পরিষদ ছেড়ে টিএমসিপি-তে যোগ দেন বিভাস। তারপরেই টিএমসিপি-পরিচালিত ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হন। এ দিন তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যায় বিভাসের মোবাইলে ফোন করা হলে জবাব আসে, “বিভাস বাড়িতে নেই। ফোন রেখে গিয়েছে।” এই বলে ফোনের লাইন কেটে দেওয়া হয়। জেলা টিএমসিপি নেতৃত্ব অবশ্য অভিযুক্ত নেতার পাশেই দাঁড়িয়েছে। সংগঠনের সহ-সভাপতি কৌশিক শীল বলেন, “কয়েক দিন আগে একটি ছেলে কলেজে ভর্তি করানোর নামে ছাত্রদের থেকে টাকা তুলছিল। তা নিয়ে বিভাসের সঙ্গে ঝামেলা হয়। বুধবারেও ওই ছাত্রের সঙ্গীরা বিভাসকে মারধর করতে গিয়েছিল। তখনই কয়েক জন প্রতিরোধ করে।” প্রহৃত দ্বৈপায়নও বন্ধুর পক্ষ নিয়ে বিভাসকে মারধর করতে এসেছিলেন বলে কৌশিকবাবু দাবি করেছেন। সে কথা অবশ্য মানতে চাননি প্রহৃত যুবক।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.