রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রশ্নে কর্মসংস্থান এবং তার জন্য ক্ষুদ্রশিল্পের প্রসারেই জোর দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার হাওড়ায় পাঁচলায় এক জনসভায় সে কথাই স্পষ্ট করে দিয়ে গেলেন তিনি।
উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নার্সিং ট্রেনিং স্কুল, ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, বাগনানে ফুলবাজার-সহ হাওড়া জেলার জন্য একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি এ দিন মমতার ভাষণের সিংহভাগ জুড়েই ছিল উন্নয়নের কথা। এর জন্য ক্ষুদ্রশিল্পের প্রসার করতে হবে বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, “সরকার তার প্রতিশ্রুতি মতো চাকরির ব্যবস্থা করবে এটা ঠিক আছে, কিন্তু ঘরে ঘরে ক্ষুদ্রশিল্প গড়ে তুলতে হবে। না হলে রাজ্যের বেকার সমস্যা পুরোপুরি মিটবে না।” |
পাঁচলা মোড়ের অনুষ্ঠানের আগে মুখ্যমন্ত্রী হাওড়ার শরৎসদনে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেও গুরুত্ব পেয়েছে জেলার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী জনসভায় ক্ষুদ্রশিল্পের প্রসার এবং ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের উপরে জোর দেওয়ার কথা জানান।
এ দিন তিনি বেশ কয়েকটি শিল্পতালুক গড়ার কথা ঘোষণা করেন। এর মধ্যে রয়েছে সাঁকরাইল ফুড পার্ক ও পলি পার্ক, জগদীশপুরের টেক্সটাইল পার্ক, পাঁচলায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, উলুবেড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিয়ালের মতো প্রকল্প। এ ছাড়া, তিনি জেলায় দশটি ক্লাস্টার করার কথাও ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “এর মাধ্যমে ৫০ হাজার যুবকের কর্মসংস্থান হবে।” ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পেও গ্রামবাসীদের বেশি করে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান। একটি বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে হাওড়ার বেকার যুবকদের বিপণনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এক-একটি পর্যায়ে এক হাজার যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিজের কেন্দ্রে নিয়োগ করবে সংস্থা। প্রশিক্ষিত যুবকদের নিয়ে হিউম্যান এক্সেলেন্স সেন্টার তৈরি হবে।” ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতে সিংহভাগ আসন দখল করার পরে কী ভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করতে হবে, সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসন টিমওয়ার্ক করে মিলেমিশে চলবে।” মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জেলাশাসক শুভাঞ্জন দাস বলেন, “প্রশাসনিক বৈঠকে উনি আমাদের কিছু মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা সেগুলি রূপায়ণ করব।” |