|
|
|
|
ঘাটশিলায় বিভূতিভূষণের বাড়ি হেরিটেজ ঘোষণা
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
‘পথের পাঁচালি’র স্রষ্টার বাড়ি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হল। ঘাটশিলায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘গৌরীকুঞ্জ’কে হেরিটেজ মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ঝাড়খণ্ড সরকার।
ক্রীড়া ও সংস্কৃতি দফতর সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডে ছড়িয়ে থাকা ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণকে হেরিটেজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই তালিকায় রয়েছে গৌরীকুঞ্জও।
দফতরের সহকারী নির্দেশক অমিতাভ কুমারের কথায়, “আপাতত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে। পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ সংস্থার প্রতিনিধিরা সাহিত্যিকের বাড়িটি ঘুরে দেখবেন। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে।”
পূর্বতন সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতো তাঁর অধীনে থাকা ক্রীড়া ও সংস্কৃতি দফতরের তহবিল থেকে গৌরীকুঞ্জকে সাজাতে ৫৩ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক পালাবদলের জেরে ওই কাজ শুরু করা যায়নি।
|
বিভূতিভূষণের গৌরীকুঞ্জ। ঘাটশিলায়। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী। |
নদী, পাহাড়ে ঘেরা ঘাটশিলায় পর্যটকদের আকর্ষণ গৌরীকুঞ্জও।
কয়েক বছর আগে, স্থানীয় কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ বালমুচু ওই বাড়ির সংস্কারে ৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। সংস্কারের কাজ শেষের পর বিভূতিবাবুর রচনাগুলির পাণ্ডুলিপি, তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়ে গৌরীকুঞ্জে একটি সংগ্রহশালা তৈরির চেষ্টা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর্থিক সঙ্কটে সে কাজ করা যায়নি।
বিভূতিবাবুর বাড়ি দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন এলাকার মানুষই। ‘গৌরীকুঞ্জ উন্নয়ন সমিতি’ নামে একটি সংগঠনও গড়ে তোলা হয়। প্রতি বছর ২৮ ভাদ্র (আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর) বিভূতিবাবুর জন্মদিন পালন করে সংগঠনটি। সদস্যরা জানিয়েছেন, এ বছর ওই দিনটিতে বিভূতিবাবুর রচনা নিয়ে তৈরি সিনেমা দেখানো হবে। সংগঠনের সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “বিভূতিবাবুকে নিয়ে বছরের বিভিন্ন সময়ে কয়েকটি অনুষ্ঠান করা হয়। ওই বাড়ি দেখতে অনেক পর্যটক আসেন। কিন্তু তাঁদের বসার মতো জায়গা নেই। শৌচাগার নেই। চা-কফি দোকানের অভাব। পর্যটকদের স্বার্থে গৌরীকুঞ্জকে দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।”
বিভূতিবাবুর বাড়ি ‘হেরিটেজ’ মর্যাদা পাওয়ায় খুশি তাঁর উত্তরসূরিরা। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের বাসিন্দা, লেখকের পুত্রবধূ মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এ কথা সত্যি হলে খুবই আনন্দের। আমরা ওই বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারি না। সরকার সেই দায়িত্ব নিলে খুবই ভালো হয়।” |
|
|
|
|
|