গরিবদের জন্য ২ টাকা কিলো দরে বিপিএল ও অন্ত্যোদয় যোজনার চাল দেওয়া হয় বিভিন্ন রেশন দোকান থেকে। কিন্তু সিউড়ি ১ ও ২ ব্লকে রেশনের দোকানগুলিতে ভাঙা ও খুদ চাল সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। সিউড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্বপন মাহারা, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল হাসান, বুলবুলি কাহারদের বক্তব্য, “রেশনে যে চাল দেওয়া হয়, তা মূলত গবাদি পশুদের খাবার। আমরা গরিব। বেশি টাকা দিয়ে বাইরে থেকে চাল কেনার সামর্থ নেই। বাধ্য হয়ে ওই নিম্নমানের চাল কিনি।” গ্রাহকদের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন রেশন দোকানের মালিকেরা। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, “গত দু’বছর ধরে বেশিরভাগ সময়ই নিম্নমানের চাল সরবরাহ করছেন ডিস্ট্রিবিউটররা। ওজনেও কম থাকছে।”
এক ডিস্ট্রিবিউটর সঞ্জয়কুমার মণ্ডল বলছেন, “মহম্মদবাজারের আঙ্গারগড়িয়া গুদাম থেকে ওই সব চাল সরবরাহ করা হয়। যা পাই তাই ডিলারদের দেওয়া হয়। গুদাম থেকে আমাদের চালের বস্তা ওজন করে দেওয়া হয় না। মুখে গুদাম কর্তৃপক্ষ যা বলেন আমরাও ডিলারদের বিনা ওজনে চালের বস্তা সরবরাহ করি।”
জেলা রেশন ডিলার সমিতির সম্পাদক রবিলাল দাস জানিয়েছেন, সিউড়ি ১ ও ২ ব্লকে এবং পাড়ুই এলাকায় নিম্নমানের চাল দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ামককে জানানো হয়েছে। খাদ্য নিয়ামক বাপ্পাদিত্য চন্দ্রের দাবি, “এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে খোঁজ নেওয়া হবে।” যদিও আর এক ডিস্ট্রিবিউটর সমর সাহার দাবি, “ডিলারদের অভিযোগ পেয়ে কয়েক দিন আগে জেলা খাদ্য নিয়ামক ডিস্ট্রিবিউটর ও রেশন দোকান থেকে চালের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।” |