বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না রামপুরহাট কলেজে। পড়ুয়াদের সঙ্গে এসে বহিরাগতরা কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালাল বলে বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগ উঠেছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়দেব পান বলেন, “বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষে ভর্তি চলছে। ছাত্রছাত্রীদের চাপ সামাল দিতে সময় লাগছিল। এতে অধৈর্য হয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। তাদের সঙ্গে কলেজের ছাত্র নয় কয়েকজন ভাঙচুর চালায়।” অভিযোগ উঠেছে এসএফআইয়ের দিকে। তারা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক আলম শেখের দাবি, “পড়ুয়াদের সঙ্গে বহিরাগত এসএফআই সমর্থকেরা কলেজে ভাঙচুর চালায়। ছাত্র সংসদের (ছাত্রপরিষদ ও তৃণমূল ছাত্রপরিষদ পরিচালিত) সদস্যরা প্রতিরোধ না করলে আরও বেশি গণ্ডগোল হত। |
দীর্ঘদিন ধরে কলেজের মূল প্রবেশ গেটে পাহারাদার নিয়োগ-সহ ক্যাশিয়ার ও শিক্ষা কর্মীদর শূন্য পদে লোক নিয়োগের জন্য বিক্ষোভ দেখিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না। বিশেষ করে ক্যাশিয়ার পদে স্থায়ী ভাবে একজন লোক দরকার।” এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বহিরাগত কারা ওরা ভাল করে জানে। ওরাই বহিরাগতদের কলেজে ঢুকতে সাহায্য করছে এবং ভাঙচুর চালাচ্ছে। এ দিনের ঘটনার আমাদের কেউ জড়িত নয়।” ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়দেববাবু অবশ্য বলেন, “কলেজের একজন পাহারাদার দীর্ঘ চার মাস যাবত কাজে আসছেন না। তাঁর বেতন আটকে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কলেজের চতুর্থ শ্রেণির পদে ৪২ জনের জায়গায় বর্তমানে ২০ জনও লোক নেই। কাজে অসুবিধা হচ্ছে।” |