বগুলা
প্রহরীকে কুপিয়ে সোনার দোকানে ডাকাতি
বাজারের মধ্যেই পুলিশ চৌকি। তার হাত বিশেকের মধ্যেই সোনার দোকান। মঙ্গলবার রাতে সেই দোকানেরই শাটার ভেঙে দুই নৈশ প্রহরীকে কুপিয়ে বেঁধে রেখে লক্ষাধিক টাকার সোনায় গয়না নিয়ে গেল ডাকাতরা। দুষ্কৃতীদের ভোজালির কোপে গুরুতর আহত এক প্রহরী, মাধব বিশ্বাসকে ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। সন্ধ্যায় সেখানেই মারা যান তিনি।
নদিয়ার বগুলা এলাকায় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব নতুন নয়। গত এক মাসে স্থানীয় বাজারে ছিনতাইয়ের পরে গত সপ্তাহেই দু’টি ‘মানি এক্সচেঞ্জার’ দোকানে হানা দিয়ে ভর সন্ধ্যায় ডাকাতি করে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সেই তালিকায় এটি শেষ সংযোজন। এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে ওঠার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বারো ঘণ্টার বগুলা বন্ধের ডাক দিয়েছে সিপিএম। পুলিশ ফাঁড়ির গায়েই ডাকাতি হল, অথচ পুলিশ জানতে পারল না? জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “পুলিশকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সিসিটিভির ক্যামেরা থেকে বোঝা যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা বহিরাগত। পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।” তবে বুধবার রাত পর্যন্ত এ ব্যাপারে কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওই দিন রাতেও টহলদার পুলিশও কিছু টের পায়নি।
বাজারের পাশেই থাকেন মধু দাস। তিনি বলেন, “রাত তিনটে দশ নাগাদ এক রক্ষীর চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখি হাত-পা বাধা অবস্থায় পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে পড়ে রয়েছেন শৈলেন। পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে অন্য প্রহরী মাধব। ছুটে গিয়ে ফাঁড়িতে খবর দিই। এর মিনিট দশেক পরে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ততক্ষণে ডাকাতেরা সরে পড়েছে।”
ওই সোনার দোকানের মালিক শঙ্কর কর্মকার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “সিসিটিভিতে দেখলাম, লোহার গেট ভেঙে ঘণ্টা দুয়েক ধরে লুঠপাট চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু পুলিশ টেরই পেল না!”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.