পরিচয়পত্র বা ফি বুক ছাড়া কাউকেই কলেজ চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিল রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে কর্তৃপক্ষ। কলেজ ও লাগোয়া এলাকায় বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তম রায় ও টিচার্স কাউন্সিলের সম্পাদক অশোক দাস জানিয়েছেন, কলেজে সংঘর্ষ রুখতে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে।
ইতিমধ্যেই কলেজের ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সংঘর্ষের ঘটনায় দুপক্ষের অভিযুক্তদেরই বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা শুরু করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ছাত্র পরিষদের তরফে তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া শুভাশিস সাহা টিএমসিপি-র ছয় সমর্থকের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। টিএমসিপির তরফে প্রথম বর্ষের ছাত্র মধুময় বর্মন ছাত্র পরিষদের ১১ সমর্থকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের নির্দেশে মঙ্গলবার পুলিশ দুপক্ষের ১৭ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা শুরু করেছে। পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।”
নবাগত পড়ুয়াদের সংগঠনে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের গেটের বাইরে ছাত্র পরিষদ ও টিএমসিপি সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় দুপক্ষের ১২ জন সমর্থক জখম হন। পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টিএমসিপি জেলা সভাপতি অজয় সরকারের দাবি, “পুলিশ আমাদের মিথ্যা মামলায় ধরলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য থানা ঘেরাও করে আন্দোলনে নামা হবে।” ছাত্র পরিষদ নেতা নব্যেন্দু ঘোষ জানান, তাঁদের কাউকে গ্রেফতার করা হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য রায়গঞ্জ বনধের ডাক দেওয়া হবে। এ দিকে, কলেজে নতুন করে গোলমাল রুখতে এদিন জেলা পুলিশের তরফে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। |