কংগ্রেস ও তৃণমূল দুপক্ষই সভাধিপতির আসনের দাবিতে অনড়। এই পরিস্থিতিতে আজ, বুধবার উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহকারি সভাধিপতি নির্বাচন হওয়ার কথা। মঙ্গলবার জেলা কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতাদের একাংশ রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় দফায় দফায় আলোচনা করলেও জোট করে বোর্ড গঠনে তাঁরা ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি।
জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য পূর্ণেন্দু দে জানান, জেলা পরিষদে তৃণমূলের চাইতে আমরা বেশি আসন পেয়েছি। সেখানে আমরা তৃণমূলকে সভাধিপতির আসনে প্রার্থী না দিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। বদলে তৃণমূলকে আমরা সহকারি সভাধিপতির আসন ও চারটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মাধ্যক্ষের পদ ছাড়তে রাজি। তৃণমূল সভাধিপতির আসনে দাবিতে অনড় থাকলে কংগ্রেস এককভাবে সভাধিপতি ও সহকারি সভাধিপতির আসনে লড়াই করবে।” একই ভাবে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত জানান, দলের নির্বাচিত সদস্যদের সভাধিপতি ও সহকারি সভাধিপতির আসনে এককভাবে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য বলেন, “আমরা কংগ্রেসকে সভাধিপতি নির্বাচনে প্রার্থী না দিয়ে আমাদের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। বদলে কংগ্রেসকে সহকারি সভাধিপতি সহ সমস্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। কংগ্রেস রাজি না হলে আমরাও সভাধিপতি ও সহকারি সভাধিপতি নির্বাচনে এককভাবে লড়ব।”
জেলা পরিষদের ২৬টি আসনের মধ্যে বামফ্রন্ট ১৩টি আসন দখল করেছে। কংগ্রেস ও তৃণমূলের দখলে গিয়েছে যথাক্রমে আটটি ও পাঁচটি করে আসন। জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক বীরেশ্বর লাহিড়ীর দাবি, কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতারা বাইরে যাই বলুন না কেনও তাঁরা জোট করবেই। আমাদের ১৩ জন সদস্য ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। সভাধিপতি নির্বাচনে আমরাও রয়েছি। |