বেহাল ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক সংস্কারের দাবিতে ৮ ঘন্টা ধরে জাতীয় সড়কের ১০টি এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন উত্তর মালদহ উন্নয়ন সমিতির সদস্যরা। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে টানা অবরোধের জেরে মালদহের সঙ্গে চাঁচলের যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মহকুমা প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে দুপুর ২টায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। |
বাসিন্দারা জানান, গত একবছর ধরেই গাজলের কদুবাড়ি থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। মাস ছয়েক আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে চাঁচল অবধি রাস্তা নতুন করে তৈরি করা হলেও বাকি অংশে কাজ হয়নি। বর্ষার পর রাস্তা এতটাই বেহাল হয়ে পড়েছে যে মালদহ পৌঁছাতে অড়েক সময় লাগছে। শুধু তাই নয়, রাস্তা জুড়ে অসংখ্য গর্ত তৈরি হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে ওই রুটে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে বসেছে। প্রশাসনের তরফেও জেলা প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে রাস্তার ছবি সহ বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তার পরও রাস্তার হাল ফেরেনি। |
রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়ে কয়েকদিন আগে উন্নয়ন সমিতির তরফে অবরোধ কর্মসূচির কথা প্রশাসনের সর্বস্তরে জানিয়েও দেওয়া হয়। চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জীব দে বলেন, “ওই রাস্তা সংস্কার ভীষন জরুরি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। পুজোর আগে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করতে সংস্কার করা হবে বলে তাঁরা জানিয়েছে।” জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মালদহের কয়েকজন আধিকারিক জানান, বরাদ্দ না মেলায় রাস্তার কাজ করা যায়নি। যা টাকা পাওয়া গিয়েছিল তা দিয়ে ২০ কিলোমিটার রাস্তা হয়েছে। এ দিন সকাল থেকেই গাজলের কদুবাড়ি, সামসি, চাঁচল সহ ১০টি এলাকায় পথ অবরোধ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে নাজেহাল হতে হয় যাত্রীদের। বিক্ষোভ চলাকালীন স্থানীয় সাংসদের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা। যদিও উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম বেনজির নূর বলেন, “রাস্তা সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকবার কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে। দ্রুত যাতে বরাদ্দ মেলে এ বার সেই ব্যাপারে উদ্যোগী হব।” উন্নয়ন সমিতির তরফে প্রবীর চৌধুরী বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা মাসের পর মাস ধরে বেহাল হয়েই পড়ে থাকবে, এটা ভাবা যায় না।”
|