তেলে ভেজাল মেশানোর অভিযোগে ৬ জনকে ধরার ১০ দিন পরেও মূল অভিযুক্ত কাজল সরকারকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। তাঁকে খোঁজার জন্য শিলিগুড়ি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে কাজে লাগানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজলবাবুর বিরুদ্ধে তেলে ভেজাল মেশানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে গুদাম থেকে ওই বেআইনি সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে তার বৈধ কাগজপত্র পুলিশ এখনও পায়নি। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সম্প্রতি কাজলবাবুকে শিলিগুড়ির একটি এলাকায় দেখা গিয়েছে বলে পুলিশ খবর পেয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কে জয়রামন বলেন, “তদন্ত এগোচ্ছে। অনেক তথ্যই মিলছে। সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” কাজলবাবুর পরিবারের তরফে অবশ্য সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাবগ্রামের যে গুদামে তেলে ভেজাল মেশানোর অভিযোগ উঠেছে সেটি তৈরির আগে পুলিশেরও ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার বলেন, “ছাড়পত্রের বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখেছি। ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছিল রং ও বিটুমিনের কারখানা করা হবে। সেই মতো প্রয়োজনীয় সমস্ত বিভাগের ছাড়পত্র নেওয়া হয়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেখানে বেআইনি তেল ও অন্যান্য সামগ্রী মজুত করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ আসে। তার ভিত্তিতে অভিযান চলে। অভিযুক্ত কাজল সরকারকে খোঁজা হচ্ছে।”
এদিকে ডাবগ্রাম এলাকায় তেলে ভেজালের কারবারের অভিযোগ উঠলেও সেখানকার প্রাক্তন প্রধান কৃষ্ণা মিত্র বলেন, “আমার বিষয়টি মনে নেই। প্রচুর গুদাম রয়েছে ঠাকুরনগর এলাকয়। সব ক’টির কথা মনে রাখা সম্ভব নয়।” অন্যদিকে সদ্য নির্বাচিত প্রধান তৃণমূলের সুধা সিংহ কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি “আমার আমলে কোনও ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।” ডাবগ্রাম এলাকায় বেআইনি মদের ঠেক নিয়ে মাঝে মধ্যেই সরব হন স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা। এমনকী কিছুদিন আগেই একটি আইনি মদের দোকান গুঁড়িয়েও দেওয়া হয়। তাই তেলে ভেজাল মেশানোর অভিযোগ ওঠার পরে তা নিয়ে আন্দোলনের দাবি তুলেছেন বাসিন্দাদের অনেকেই।
পুলিশ জানায়, গত ১ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন ঠাকুরনগরে একটি গুদামে হানা দিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ লিটার জ্বালানি তেল এবং তেলে ভেজাল মেশানোর সামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ। মোট ৬ জনকে গ্রেফতারও করা হয়। তার মধ্যে একজন সন্তোষ প্রসাদ। কিন্তু কাজলবাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। |