|
|
|
|
সংরক্ষণের জের, বাধা নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে |
নিজস্ব সংবাদদাদাতা • মেদিনীপুর |
সংরক্ষণের গেরোয় এ বার আর নিজের ওয়ার্ড থেকে ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না মেদিনীপুর পুরসভার বিদায়ী উপপুরপ্রধান এরশাদ আলি। একই সমস্যায় বিদায়ী পুরপ্রধান পারিষদ বিশ্বনাথ পাণ্ডব। বিদায়ী পুরপ্রধান প্রণব বসুর ওয়ার্ডটি অবশ্য সংরক্ষণের আওতায় আসেনি। ফলে, নিজের ওয়ার্ড থেকে ভোটে দাঁড়াতে প্রণববাবুর কোনও অসুবিধে নেই। মঙ্গলবার ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে। আর তাতেই উঠে এসেছে এই ছবি। পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবমিলিয়ে ১১টি ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় এসেছে। এর মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ড। ইতিমধ্যে শাসক -বিরোধী, দুই পক্ষই পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে। আগামী ২২ নভেম্বর পুরসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তত্পরতা আরও বাড়ছে। প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাথমিক কাজও শুরু হয়েছে। চলছে ঘরোয়া আলোচনা।
আগে মেদিনীপুরে ২৪টি ওয়ার্ড ছিল। এলাকা পুনর্বিন্যাসের ফলে একটি ওয়ার্ড বেড়েছে। ফলে, জেলার সদর শহরের ওয়ার্ড সংখ্যা এখন ২৫টি। এলাকা পুনর্বিন্যাসের ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগের ওয়ার্ডের সঙ্গে নতুন ওয়ার্ডের নম্বরের মিল নেই। যেমন, আগে যে ওয়ার্ডটির নম্বর ৭ ছিল। এখন সেটিই ১২ নম্বর হয়েছে। পাঁচ বছর আগে, ২০০৮ সালে মেদিনীপুর পুরসভা নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচনে জিতে পুরসভার ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস -তৃণমূল। জোট হয়। যদিও ভোটের আগে দু’দলের জোট ছিল না। পুরপ্রধান হন তৃণমূলের প্রণব বসু। উপপুরপ্রধান হন কংগ্রেসের এরশাদ আলি। ঘাটাল এবং খড়্গপুর, জেলার এই দুই পুরসভা আগে কংগ্রেস -তৃণমূল জোটের দখলে ছিল। পরে অবশ্য ছবিটা বদলায়। দু’দলের তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয়। এখন ঘাটাল পুরসভা একক ভাবে তৃণমূলের দখলে। আর খড়্গপুর একক ভাবে কংগ্রেসের।
মেদিনীপুরে অবশ্য এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। একটানা পাঁচ বছরই ক্ষমতায় থেকেছে জোট। গতবার ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হন বিদায়ী উপপুরপ্রধান এরশাদ আলি। এ বার এটি ১৩ নম্বর ওয়ার্ড হয়েছে। খসড়া তালিকা অনুযায়ী, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত। অন্য দিকে, গতবার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হন পুরপ্রধান পারিষদ (জল ) বিশ্বনাথ পাণ্ডব। এ বার এটি ১৯ নম্বর ওয়ার্ড হয়েছে। খসড়া তালিকা অনুযায়ী, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডটিও মহিলা সংরক্ষিত। আর যে সব ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত, সেগুলো হল ১, ৪, ৫, ৮, ১৩, ১৬, ১৯, ২২ এবং ২৫। এর মধ্যে ৪ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি উপজাতি মহিলার জন্য সংরক্ষিত। ৯ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ড তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। |
ওয়ার্ড চিত্র |
পুরনো |
নতুন |
কী সংরক্ষণ |
১ |
১ |
মহিলা |
২ |
২ |
সাধারণ |
৩ |
৮ |
মহিলা |
৪ |
৩ |
সাধারণ |
৫ |
৭ |
সাধারণ |
৬ |
৯ |
তফ : জাতি |
৭ |
১২ |
তফ : জাতি |
৮ |
১১ |
সাধারণ |
৯ |
১০ |
সাধারণ |
১০ |
১৩ |
মহিলা |
১১ |
২২ |
মহিলা |
১২ |
২১ |
সাধারণ |
১৩ |
১৪ |
সাধারণ |
১৪ |
১৯ |
মহিলা |
১৫ |
১৮ |
সাধারণ |
১৬ |
২০ |
সাধারণ |
১৭ |
১৫ |
সাধারণ |
১৮ |
১৬ |
মহিলা |
১৯ |
১৭ |
সাধারণ |
২০ |
২৪ |
সাধারণ |
২১ |
৪ |
তফ : উপ : মহিলা |
২২ |
৬ |
সাধারণ |
২৩ |
৫ |
মহিলা |
২৪ |
২৩ |
সাধারণ |
--- |
২৫ |
মহিলা |
২৫ নম্বর ওয়ার্ডটি নতুন। আগে মেদিনীপুর পুরসভায় ২৪টি ওয়ার্ড ছিল। |
|
|
|
|
|
|