|
|
|
|
শহর ছন্দে রাখতে পথে নামল হাজার পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূলের সভা ঘিরে শহর অচল হওয়ার আশঙ্কা ছিল। সেই আশঙ্কা থেকে মঙ্গলবার প্রায় এক হাজার পুলিশ কর্মীকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে শহরকে সব মিলিয়ে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। এক একটি সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন এক একজন পুলিশ অফিসার। তার সঙ্গে ছিলেন এসআই-এএসআই, কনস্টেবল-হোমগার্ডরা। শেষমেশ অবশ্য পরিস্থিতি তেমন জটিল হয়নি। সকালের দিকে বেশ কিছু এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের তত্পরতায় কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পাশাপাশি, বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবকরা ছিলেন। তাঁরাও শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেন। |
|
নতুন সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতির সঙ্গে মুকুল রায়।—নিজস্ব চিত্র। |
তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “বাসের থেকে বেশি সংখ্যক ছোট গাড়িতে করে দলের কর্মী-সমর্থকেরা মেদিনীপুরে এসেছিলেন। দল থেকেই এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কোথাও কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি।” তবে, অন্য দিনের থেকে এ দিন জেলায় প্রায় ১৫০টি বাস কম চলে। এই সব বাস সভার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। বিভিন্ন রুটে বাস কম চলে। ফলে, দুর্ভোগে পড়েছেন একাংশ নিত্যযাত্রী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিপুল জয় উদ্যাপন করতেই মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরের কলেজ মাঠে এক সভার আয়োজন করে তৃণমূল। এ দিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ- সভাধিপতি নির্বাচন ছিল। দুপুরে সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এই প্রথম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ক্ষমতায় এল তৃণমূল। ফলে, দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনাও ছিল তুঙ্গে। শহর অচল হওয়ার আশঙ্কা থেকে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে নিয়েছিল পুলিশ। সেই মতো মঙ্গলবার সব পদক্ষেপ হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাস ব্রিজ থেকে সার্কিট হাউস পর্যন্ত (ভায়া জগন্নাথমন্দির) এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল ২০ জন এসআই-এএসআই, ৮৭ জন কনস্টেবল-হোমগার্ডকে। পুলিশের খাতায় এই এলাকার ছিল সেক্টর ১। সার্কিট হাউস এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল ৫ জন এসআই-এএসআই, ২৬ জন কনস্টেবল-হোমগার্ডকে। এই এলাকার নাম ছিল সেক্টর ২। সভাস্থল অর্থাত্, কলেজ মাঠে মোতায়েন করা হয়েছিল ৩০ জন এসআই-এএসআই, ১৬৩ জন কনস্টেবল- হোমগার্ডকে। সঙ্গে ২ সেকশন কমান্ডো। পুলিশের খাতায় এই এলাকার নাম ছিল সেক্টর ৫।
জানা গিয়েছে, ১ থেকে ১০ এই ১০টি সেক্টরে সব মিলিয়ে মোতায়েন করা হয়েছিল ৯ জন ইন্সপেক্টর, ১১৮ জন এসআই-এএসআই এবং ৬৮৮ জন কনস্টেবল-হোমগার্ডকে। যানজট এড়াতে এ দিন সকাল থেকেই গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে পুলিশ। মাল বোঝাই বড় লরি শহরের মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। একাধিক স্কুলবাসকেও অন্য দিনের মধ্যে শহরের সর্বত্র চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। এর ফলে, বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী সমস্যায় পড়ে।
এ দিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরে হালকা-মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। ফলে, এক জায়গায় বেশি সংখ্যক মানুষের জমায়েতও ছিল না। |
|
|
|
|
|