হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় দু’বছর চার মাসের মাথায় স্কুলে গেলেন এক সিপিএম নেতা তথা ওই স্কুলের শিক্ষক। তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগ ছিল আরামবাগের কেশবপুর মহেন্দ্র ইন্সটিটিউশনের ওই শিক্ষক, আরামবাগের জোনাল নেতা শরদিন্দু ঘোষের। তিনি আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা সংস্কৃতি, তথ্য ও ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষও ছিলেন।
মঙ্গলবার চার ভ্যান পুলিশ-সহ আরামবাগ থানার আইসি সুকমল দাস তাঁকে স্কুলে পৌঁছে দেন। শরদিন্দু বাবু বলেন, “পুলিশ-প্রশাসনের নিরাপত্তায় অবশেষে স্কুলে আসতে পেরেছি। কোনও অসুবিধার মুখে পড়তে হয়নি।”
তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট অঞ্চল সভাপতি মৃণাল ঘোষ বলেন, “শরদিন্দুবাবুর উপরে হামলা হয়নি। কোনও সন্ত্রাসও ছিল না। এলাকায় তাঁর নানা অপকর্মের কারণে তিনি আতঙ্কে স্কুল আসছিলেন না।”
পুলিশ জানায়, নিরাপত্তার দাবিতে ওই শিক্ষক উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছিলেন। আদালতের নির্দেশ মেনেই তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের জয়ের পরই শরদিন্দুবাবু এলাকা ছাড়া হন। অভিযোগ তৃণমূল তাঁর বাড়িতে গিয়ে হামলা করে, হুমকি দেয়। স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্বের আশ্বাসে ওই বছরই ৮ ডিসেম্বর স্কুল গেলে তৃণমূলের ছেলেরা স্কুলে ঢুকে হামলার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। যে যাত্রায় পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। এরপর আর স্কুলমুখো হতে পারেননি ওই শিক্ষক। ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শরদিন্দুবাবু। বিচারক গত ৩০ অগস্ট রায় দেন, শরদিন্দুবাবু স্বাধীন ভাবে স্কুল যাবেন। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে স্থানীয় পুলিশকে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজকুমার খামরুই বলেন, “স্কুলের স্বাভাবিক পরিবেশ যাতে বিঘ্ন না ঘটে, এলাকায় সে আবেদন রাখা হয়েছে।” |