|
|
|
|
নিজের রাজ্যে তৃণমূলকে আমল দিতে নারাজ মানিক
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দু’দিন আগেই তৃণমূল ঘোষণা করেছে, ত্রিপুরায় লোকসভা নির্বাচনে দু’টি আসনেই তারা প্রার্থী দেবে। তার পরেই আজ দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানা করলেন মানিক সরকার। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানায় যে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, তৃণমূল রাজত্বে তা
ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের মতোই বাম রাজ্য ত্রিপুরাতেও কংগ্রেসের ঘর ভেঙে নিজেদের সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। ত্রিপুরা থেকে কংগ্রেসের কয়েক জন প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক রবিবার কলকাতায় গিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তার পরে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় ঘোষণা করেছেন, লোকসভায় ত্রিপুরার দু’টি
যন্তরমন্তরে মানিক।
—নিজস্ব চিত্র |
আসনেই প্রার্থী দেবে তৃণমূল। তার একটির জন্য প্রার্থীর নামও অনেক দিন আগে ঘোষণা করে রেখেছে দল। একে কি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন? মানিকবাবুর জবাব, “মোটেই না। গণতান্ত্রিক দল নির্বাচনে দাঁড়াবে, এ তো ভাল কথা। যত দল দাঁড়াবে, ততই তো ভাল। অসুবিধের কী আছে? আমরা মোটেই একে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না।”
কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আজ এসএফআইয়ের দিল্লি অভিযানে প্রধান বক্তা হিসেবে যন্তরমন্তরের মঞ্চ থেকেও মমতা সরকারকে নিশানা করেন মানিকবাবু। তাঁর অভিযোগ, “ত্রিপুরায় আমরা ছাত্রছাত্রীদের গণতান্ত্রিক অধিকার দিয়েছি। এর ফলে তারা খোলা মনে নিজেদের মত প্রকাশের সুযোগ পায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে ছাত্র সংসদের নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে, তাতে সেই অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।”
পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন ঘিরে হিংসা ও হতাহতের ঘটনার পরে এইসব নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন ও অনেক শিক্ষাবিদ চান ছাত্র সংসদের নির্বাচন হোক রাজনীতিমুক্ত। কিন্তু মমতা পুরোপুরি এর পক্ষে নন। তিনি এ নিয়ে বিতর্ক চান। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলছেন, রাজনীতি রেখেই হিংসামুক্ত ছাত্রভোট চায় রাজ্য সরকার। মানিক বলেন, “কোনও নির্বাচনই রাজনীতি মুক্ত হতে পারে না। এই দৃষ্টিভঙ্গিটাই আসলে নেতিবাচক রাজনীতির।”
ছাত্র সংসদের নির্বাচন চালু করার দাবিতে আন্দোলনেই কলকাতায় এসএফআই-নেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যু হয়। এর বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে আজ দেশ জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আন্দোলনে অন্যান্য রাজ্যকেও পাশে চান তাঁরা। যে কারণে, ঋতব্রত এ দিন হিন্দির পাশাপাশি মালয়ালমেও বক্তৃতা দেন। মানিকবাবু বলেন, “এটা পশ্চিমবঙ্গের আন্দোলন নয়। গোটা দেশ জুড়েই এই দাবি তুলতে হবে। সুদীপ্তর মৃত্যু হয়েছে পুলিশি হেফাজতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি মানতেই হবে।” |
|
|
|
|
|