মধ্যরাতে মোটরসাইকেলে চেপে এক প্রৌঢ় ও এক যুবককে যেতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল টহলদার পুলিশের। বাইকটি দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁরা জানতে পারলেন, দুই দুষ্কৃতী ওই প্রৌঢ়কে মারধর করে কয়েক হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে। জানতে পারেন, এক দুষ্কৃতীর পরনে হাফ প্যান্ট ও অন্য জনের পিঠে রয়েছে স্কুলব্যাগ। বর্ণনা শুনেই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে শেষে দুই দুষ্কৃতীকেই ধরলেন ওই পুলিশকর্মীরা।
সোমবার রাতে, গরফা থানা এলাকার ঘটনা। ছিনতাইবাজদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ মনে করলেও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে শহরে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরাধী ধরা পড়ছে। ছিনতাইয়ের ঘটনা কমাতে যে ভাবে নজরদারি চালানো শুরু হয়েছিল, তা এখনও জারি রয়েছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, গরফা থানার পূর্বাচল কালীতলা রোডের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি সুকান্তিরঞ্জন সাহা ধাপা মাঠপুকুর এলাকায় তাঁর ভাইয়ের একটি ওষুধের দোকান থেকে রোজের মতো ফিরছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ট্যাক্সি থেকে তিনি নামলে দুই যুবক তাঁর কাছে বিড়ি চায়। এক জন পকেট থেকে ছুরি বার করে তাঁর সামনে ধরে। অন্য জন তাঁর পকেট ঘেঁটে ৩,৪০০ টাকা নিয়ে তাঁকে মারধর করে পালায়।
পুলিশ জানায়, সুকান্তিবাবু ছেলেকে নিয়ে মোটরবাইকে ফের ঘটনাস্থলে যান। সেই সময়ে সেখানে মোটরসাইকেলে টহল দিচ্ছিলেন গরফা থানার এক কনস্টেবল ও হোমগার্ড। তাঁদের বিষয়টি জানান ওই প্রৌঢ়। পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলে গরফার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকেন ওই কনস্টেবল ও হোমগার্ড। শেষে গরফা খালপাড় এলাকায় গিয়ে তাঁরা ধরে ফেলেন ওই দুই যুবককে। উদ্ধার হয় টাকা ও ছুরি।
|