আঞ্চলিক স্তরে বিমান যোগাযোগ বাড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পদক্ষেপ করেছেন, তাকে সমর্থন জানাল কেন্দ্র।
বিমান যোগাযোগ বাড়াতে বহু দিন ধরেই বিমানের জ্বালানির (এভিয়েশন টার্বাইন ফুয়েল বা এটিএফ) উপর রাজ্যগুলি যে কর বসায় তা কমানোর পক্ষে সওয়াল করে আসছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গে এটিএফের উপরে ৩০% কর দিতে হতো। সম্প্রতি রাজ্য জানিয়েছে, বাগডোগরা বিমানবন্দরে জ্বালানি ভরলে কর দিতে হবে না। আর দমদমে গত অর্থবর্ষের চেয়ে এ বার যত বেশি জ্বালানি কেনা হবে, সেই অতিরিক্তর উপরে কর দিতে হবে ১৫%। এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্য থেকে উড়ানের সংখ্যা বাড়বে বলে সরকারের আশা।
আজ বিমান পরিষেবা নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহ বলেন, অন্য রাজ্যগুলিরও এই পথে চলা উচিত। তাঁর বক্তব্য, “বিমান সংস্থার লোকসানের অন্যতম কারণ জ্বালানির চড়া দাম। দেশীয় বিমান সংস্থাগুলির মোট খরচের ৪০-৫০% যায় জ্বালানিতে। প্রতিবেশী গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলির তুলনায় ভারতে এটিএফ-এর দাম ৫০-৬০% বেশি।”
বিমান মন্ত্রকের যুক্তি, রাজ্যগুলি জ্বালানিতে কর কমালে বিমান চলাচল বাড়বে। তাতে লাভ রাজ্যেরই। তিন বছর আগে ছত্তীসগঢ় কর কমানোয় রায়পুরে বিমান আসা বেড়েছে। বিমান চলাচল বাড়লে অর্থনীতির উপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
বড় শহরের পাশাপাশি মাঝারি, ছোট শহরেও বিমানবন্দর গড়ে বিমান পরিষেবা মধ্যবিত্তের নাগালে আনতে চায় বিমান মন্ত্রক। মমতাও তা-ই চান। তাঁর নীতি, বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা। এ জন্য রাজ্য কী কী করছে, তা জানিয়ে গত কালই বিমানমন্ত্রীকে চিঠি দেন তিনি। তাতে এটিএফ-এর উপরে কর কমানোর পরিবর্ত হিসেবে কেন্দ্রের কাছ থেকে সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
বাগডোগরায় রাতে বিমান চালাতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য। প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি তাতে সম্মতি জানিয়েছেন। মমতা চান, বিমান মন্ত্রক বাগডোগরায় কর্মী বাড়াক। তা হলেই রাতে বিমান চলাচল শুরু করা যাবে। বিমান মন্ত্রক সূত্রের খবর, গত সপ্তাহেই দেশীয় সংস্থাগুলিকে বেশ কিছু নতুন বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাগডোগরাও রয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে জেট বাগডোগরা থেকে দিল্লি ও কলকাতা বিমান পরিষেবা চালু করছে। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়া কেন বিমান তুলে নিচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলছেন মমতা। |